চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ হতে আরো সময়ের ব্যাপার। আমাদের এখন প্রয়োজন শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমে জলজট ভোগান্তি থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ দেয়া। সে জন্য খালের ওপর অস্থায়ীভাবে যে বাঁধ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অপসারণ করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর ডোম খাল ও নয়াখালে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের বাঁধ অপসারণ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলী ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।
মেয়র আরো বলেন, খালের দু’পাশের যে অংশগুলোতে রিটার্নিং ওয়াল তোলা হয়েছে সেখানে খালের মাঝেই মাটির স্তূপ এখনো পড়ে আছে। এই মাটির স্তূপগুলো খাল থেকে সরানো না গেলে এই বর্ষায় জলজট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ যেকোনো সহযোগিতা চাইলে চসিক তাতে এগিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ রুটিন-মাফিক তাদের কাজসহ ক্রাস প্রোগ্রামের কাজও চলমান রেখেছে। প্রবল বর্ষণের ফলে যেখানে জলজট হচ্ছে সে স্থানগুলো চিহ্নিত করে পানি চলাচলের পথ সুগম করা হচ্ছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের নির্দেশনা দেয়া আছে পরিস্থিতি অবলোকন করে যেখানে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা যেন নেয়া হয়। তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য সভ্যতার অভিশাপ। নগরীর খাল, ছোট-বড় নালায় পলিথিনের স্তূপ এখনো পড়ে আছে। এই পলিথিন স্তূপ পানি নিষ্কাশনের বড় প্রতিবন্ধক মন্তব্য তিনি বলেন, এ বিষয়ে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে এবং নিজের গৃহস্থালী বর্জ্য ও পলিথিন সামগ্রী নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।