×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০২১-১০-২১
  • ৫৪১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি-সংগৃহীত

ফেনী পৌরসভার উত্তর বারাহীপুর ভূঁইয়া বাড়িতে ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ বেগম জেবুননেছা। রায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ রায়ে নিহতের বাবা সাহাবউদ্দিন সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিবাদি পক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে।
এর আগে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সাইফুদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে গত রোববার এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ করেন আদালত। এ মামলায় বাদী, ম্যাজিস্ট্রেট, ডাক্তার ও পুলিশসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ মামলায় ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. আলতাফ হোসেন জানান, সাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে বিগত বছরের ১৬ এপ্রিল ওবায়দুল হক টুটুলকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুদ্দিন ওই দিন আসামীকে আদালতে হাজির করে। আসামী টুটুল হত্যার দায় স্বীকার করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুবজোতি পালের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এসআই সাইফুদ্দিন বদলী হওয়ায় মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই এমরান হোসেনকে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এমরান হোসেন গত বছরের ১৬ নভেম্বর ওবায়দুল হক টুটুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে। আদালত একই বছরের ডিসেম্বর মাসে চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে। ১৩ জানুয়ারি নিহত গৃহবধূর পিতা ও মামলার বাদী সাহাবউদ্দিনের প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ এপ্রিল শহরের উত্তর বারাহীপুর ভূঞা বাড়িতে দাম্পত্য কলহের জের ধরে ফেইসবুক লাইভে এসে স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে হত্যা করে টুটুল। পরে হত্যাকারী টুটুল নিজেই ৯৯৯ এ খবর দিয়ে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে ফেনী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে টুটুলকে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা ও ফেসবুকে প্রচার চালানো মোবাইল জব্দ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat