ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাসার চাবি হস্তান্তর করেছেন সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ নগর ভবন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ১৪ নম্বর আউটফলস্থিত ১০তলা বিশিষ্ট পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাস শাপলা, শালুক ও পলাশ এ ১৭০ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর মাঝে বাসার বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করেন মেয়র।
মেয়র বলেন, ‘আজ আমরা ১৭০ জনের মাঝে বাসা বরাদ্দ দিয়েছি। এই বাসা বরাদ্দ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় হলেও তা আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। কারণ এই বাসা বরাদ্দের যে মূল নীতিমালা বা আইন, সেটি নিয়মিত কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা অনুধাবন করেছেন যে, আমাদের এই বিপুল সংখ্যক পরিচ্ছন্নতাকর্মী হরিজন, মুসলিম, তেলেগু, মানামি সম্প্রদায়ের যারা নিম্ন আয়ের এবং যাদের কোনও মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই, তিনি সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করে তাদেরকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই বাসস্থানের ব্যবস্থা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মমতায় আপনাদের ঠিকানা করে দিলেন।’
পর্যায়ক্রমে আবাসন সমস্যার সমাধান করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাসাগুলো কিছু প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে। কিছু ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে আবার কিছু বাসার নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলমান ভবনগুলোর নির্মাণ শেষ করে সেগুলোও পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ দেয়া হবে। তেলেগু সম্প্রদায়কে যে বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, সেখানে কিছু বাসা খালিও রয়েছে। বরাদ্দ কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছি, অচিরেই প্রাপ্যতা তালিকা সম্পন্ন করে সেগুলোও যেন তেলেগু সম্প্রদায়ের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়। আর আজকে বরাদ্দ দেওয়া ৩টি ভবনের মধ্যে ১২০টি বাসা বাকি রয়েছে। এখনোও যারা প্রকৃত পরিছন্নকর্মী আছেন, যারা এখনো পাননি, তারা আবেদন করতে পারবেন। এ বছরের মধ্যেই বাকি ১২০টি বাসা বরাদ্দ দেয়া হবে।
কোথাও অন্যায় কিছু পরিলক্ষিত হলে তা জানানোর নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, ‘কোথাও যদি অন্যায়-অন্যায্য কিছু গোচরীভূত হয় তাহলে তা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন, আমাদেরকে জানাবেন। আমরা কিন্তু কোনও অন্যায়, কোনও অন্যায্য বরদাশত করব না। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, গত দুই বছর ধরে কোনও অনিয়ম, অন্যায় বরদাশত করিনি। তা যে পর্যায়েরই হোক, যত বড় মাপেরই হোক। আমরা কোনও রকমের আপস করিনি, করছি না।’
কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাদল সরদার বক্তব্য রাখেন।
এতে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন উপস্থিত ছিলেন।