×
ব্রেকিং নিউজ :
গাজাসহ অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যুর কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু যেন বিলীন হয়ে না যায়: দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার : পরিবেশমন্ত্রী পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির কৃষি জমির মাটি কাটার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তে হাইকোর্ট নির্দেশ পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে : নানক গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ ভোলায় তীব্র তাপদাহে অস্থির জনজীবন নড়াইলে মাদক মামলায় দুই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড
  • প্রকাশিত : ২০২২-১২-০৪
  • ৫৩২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস আজ ৪ ডিসেম্বর।১৯৭১ সালের এ দিনে পািকস্তানী-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী অঞ্চলকে শক্রমুক্ত করে। এ উপলক্ষে আজ সকালে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে ঝিনাইগাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনটি পালন করে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার টেলিগ্রাম বার্তাটি পৌছায় ঝিনাইগাতী সাবেক ইপিআর বাহিনীর ভিএইচএফ ওয়ারলেস অফিসে। পরদিন শেরপুর কলেজের জিএস ফকির আব্দুল মান্নান শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দের হাতে বার্তাটি পৌছে দেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭১ সনের ২৭ মার্চ সকালে শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে দেশকে শক্রমুক্ত করাসহ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। শুরু হয় প্রতিরোধ সংগ্রাম। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া পাতার ক্যাম্পে বাঙ্গালী যুবকদের প্রশিক্ষণ শিবির খোলা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ওইসব স্বেচ্ছাসেবক, মুজিব বাহিনী ও ইপিআর সৈনিকদের নিয়ে ঝিনাইগাতীর নকশী ইপিআর ক্যাম্পের সুবেদার আব্দুল হাকিম প্রথমে মধুপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
৩ আগস্ট নকশী পাকিস্তানী ক্যাম্প আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। ওই সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর ৩৫ জন সেনা নিহত হয়। ২৭ নভেম্বর কমান্ডার জাফর ইকবালের (অবসরপ্রাপ্ত সোনালী ব্যাংকের জিএম) নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী বাজারের রাজাকার ক্যাম্প দখল করেন। ওই সময় ৮ রাইফেলসহ ৮ রাজাকারকে ধরে নিয়ে যায়। এভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের উপুর্যুপরি আক্রমণে হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে।
অবশেষে কামালপুর দুর্গ পতনের আগাম সংবাদ পেয়ে ৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টায় ঝিনাইগাতীর শালচুড়া ক্যাম্পের পাকিস্তানী বাহিনী পিছু হটে। এরপর আহমদ নগর পাকিস্তানী হেডকোয়ার্টারের সৈনিকদের সঙ্গে নিয়ে রাতেই মোল্লাপাড়া ক্যাম্প গুটিয়ে শেরপুর শহরে আশ্রয় নেয়। আর বিনাযুদ্ধে ঝিনাইগাতী শক্রমুক্ত হয়। ৪ ডিসেম্বর ভোরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্ত ঝিনাইগাতীতে প্রবেশ করে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat