×
ব্রেকিং নিউজ :
মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন গাজা হত্যাযজ্ঞে নিশ্চুপ শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী ভুটানের রাজাকে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবির রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর
  • প্রকাশিত : ২০২২-১২-১০
  • ৪৯৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে ময়মনসিংহ জেলা পাকহানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছিল।দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে শনিবার সকালে নগরীর ছোটবাজার মুক্তমঞ্চে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধ আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
ডিআইজি ব্যারিস্টার দেবদাস ভট্টাচার্য্য, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুম আহমেদ ভূঞা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রব, সেলিম সাজ্জাদ, সেলিম সরকার রবার্ট ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বণার্ঢ্য বিজয় র‌্যালি নগরীর প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ছোট বাজার মুক্তমঞ্চে শেষ হয়। র‌্যালিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।
ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রতিবারের মত এবারও শহরের ছোট বাজার মুক্তমঞ্চে ৭ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড। এছাড়াও প্রতিদিন বিকেলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও স্ংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে। ১৯৭১ সালের এইদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা ভোরের দিকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে বিজয়ে মিছিল সহকারে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয় সার্কিট হাউজ মাঠে প্রবেশ করে এই সময় খবর পেয়ে শত-শত মুক্তিকামী নারী পুরুষ ও স্বজনরা রাস্তার দুধারে দাড়িয়ে আনন্দ উল্লাস করে এবং তাদের অভিবাদন জানান। এই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনরা তাদের প্রিয় মানুষদের এক নজর দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ে। আনন্দের সাথে এই স্বজন হারানোর বেদনার এই দৃশ্যটি ছিল খুবই বেদনাদায়ক ও অভুতপূর্ব। মুক্তিকামী জনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা সার্কিট হাউস মাঠে উত্তোলন করে ময়মনসিংহকে মুক্ত ঘোষণা করেন। ওই সময় চারদিক থেকে মুক্তিকামী জনতা নারী পুরুষ সার্কিট হাউস মাঠে জড়ো হয় এবং তারা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে এবং জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠটি।এটি ছিল মুক্ত দিবসের এক বিরল দৃশ্য।
এর আগের রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের তাড়া খেয়ে পাকসেনারা ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্প থেকে পালিয়ে টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকা চলে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat