×
ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার টাঙ্গাইলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলো জমজ দুইবোন বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০২-২৫
  • ৬০০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ বিবাহ আইন
বিশেষ প্রতিবেদক মোঃ নুর উদ্দিন :  বাংলাদেশে বিশেষ বিবাহ হয় ‘বিশেষ বিবাহ আইন, ১৮৭২’ অনুযায়ী। কিন্তু এ বিয়ে কাদের জন্য প্রযোজ্য, বিয়ে অনুষ্ঠানের শর্তাবলি কী, সম্পাদনের পদ্ধতি কী, কার দ্বারা এ বিয়ে সম্পাদন হবে, এ বিয়ের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তান কোন ধর্মের পরিচয়ে বড় হবে, এ বিয়ের স্বামী বা স্ত্রী কোন ধর্ম অনুসরণ করবেন, এ বিয়ের ফলে উত্তরাধিকার কে কতটুকু ভোগ করতে পারবেন প্রভৃতি বিষয় অনেকের কাছেই অস্পষ্ট। যেসব ব্যক্তি মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, ইহুদি, পার্সি, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্ম গ্রহণ করেননি, তাদের মধ্যে এ বিয়ে হতে পারে। এ ছাড়া যেসব ব্যক্তি হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্ম গ্রহণ করেছেন, এ আইন দ্বারা তাদের জন্য বিয়ের বিকল্প একটি ধরন নির্ধারণ করা হয়েছে। আরও উল্লেখ করা প্রয়োজন, যেসব বিয়ের বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে, সেসব সুনির্দিষ্ট বিয়ের বৈধতা দেওয়া হয়েছে এ আইন দ্বারা।‘বিশেষ বিবাহের ক্ষেত্রে ধর্ম ত্যাগ করা অত্যাবশ্যক। দুই পক্ষই ধর্ম ত্যাগ না করলে বিয়েটি বাতিল বলে গণ্য হবে। এ আইনের বিধানে যেকোনো ধরনের মিথ্যা বর্ণনা দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আবেদনকারী যদি বাস্তবে ধর্ম ত্যাগ না করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে ধার্য হয়েছে—তিনি মিথ্যা বর্ণনা দিয়েছেন।’ [(১৯৬৬) ১৮ ডিএলআর ৫০৯]বাংলাদেশে মুসলিম কোনো ব্যক্তি ইচ্ছা করলে অন্য ধর্মের কোনো ব্যক্তিকে মুসলিম আইন অনুযায়ীই বিয়ে করতে পারেন। যদি অন্য পক্ষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তবে কোনো সমস্যাই নেই, অর্থাৎ বিয়েটি ‘বৈধ বিয়ে’। আর যদি অন্য পক্ষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ নাও করেন, তবু মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়ে করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে বিয়েটি ‘অনিয়মিত’ হবে।খ্রিষ্ট ধর্মের ক্ষেত্রেও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। অন্য পক্ষ খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করলে কোনো সমস্যাই নেই। তবে অন্য পক্ষ খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ না করলে খ্রিষ্টান পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়েটি ‘অনিয়মিত’ বিয়ে হবে।বিয়ে সম্পাদনের ইচ্ছা পোষণ করলে দুই পক্ষের কোনো একজনকে অবশ্যই নিবন্ধক বরাবর লিখিত নোটিশ দিতে হবে। যে জেলার নিবন্ধক বরাবর নোটিশ প্রদান করবেন, নোটিশ প্রদানকারীকে অবশ্যই নোটিশ দেওয়ার কমপক্ষে ১৪ দিন আগে থেকে সেখানে বসবাস করতে হবে। নিবন্ধককে অবশ্যই ওই জেলার হতে হবে, যে জেলায় দুই পক্ষের অন্তত কোনো একজন নোটিশ দেওয়ার কমপক্ষে ১৪ আগে থেকে বসবাস করছেন।বিয়ে সম্পাদনের পর নিবন্ধক ‘বিবাহ প্রত্যয়ন বই’য়ে প্রত্যয়নপত্র অন্তর্ভুক্ত করবেন, যা নির্ধারিত একটি ফরম। এবং এটি উভয় পক্ষ ও তিনজন সাক্ষী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে।নিবন্ধক সরকার-নির্ধারিত ফরমে ‘বিবাহ প্রত্যয়ন বই’য়ে লিপিবদ্ধ সব অন্তর্ভুক্তির অনুলিপি তার জেলার ‘জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল’-এর কাছে পাঠাবেন।জন্মগ্রহণকারী সন্তানের বিবাহ: এ আইনের অধীনে বিয়ের ফলে জন্মগ্রহণকারী সন্তান যদি এ আইনের অধীনেই বিয়ের ইচ্ছা পোষণ করেন, তবে তার পিতা বিয়ের ক্ষেত্রে যে আইনে রক্ত-সম্পর্কীয় ও বৈবাহিক সম্পর্কীয় বাধার সম্মুখীন ছিলেন, সে আইন এবং এ আইনের ২ ধারা তার ওপর প্রযোজ্য হবে।এ আইনের কোনো কিছুই এ আইনের অধীনে বিয়ের ফলে জন্মগ্রহণকারী সন্তানের অন্য কোনো আইনে সম্পাদিত বিয়ের বৈধতা ক্ষুণ্ন করবে না।মিথ্যা বর্ণনা-সংবলিত ঘোষণার প্রত্যয়নপত্র স্বাক্ষরের শাস্তি: এ আইন দ্বারা নির্দেশিত কোনো ঘোষণা বা প্রত্যয়নপত্র তৈরি করেন, স্বাক্ষর করেন বা সত্যায়ন করেন, যা মিথ্যা বর্ণনা, এবং তিনি জানেন ও বিশ্বাস করেন মিথ্যা বলে, বা সত্য বলে বিশ্বাস করেন না, এমন কোনো ব্যক্তি দণ্ডবিধির ১৯৯ ধারায় অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন।সহ-উত্তরাধিকারিত্বের ওপর ফলাফল: হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈন ধর্মে বিশ্বাসী কোনো পরিবারের কোনো সদস্যের এ আইনে বিয়ে হলে তিনি ওই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বলে গণ্য হবেন।উত্তরাধিকারের অধিকার: হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈন ধর্মে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি এ আইনে বিয়ে করলে, ‘জাতিগত অসামর্থ্যতা দূরীকরণ আইন, ১৮৫০’ প্রযোজ্য হয় এমন ব্যক্তির মতো তারও সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে একই অধিকার থাকবে এবং তিনি একই রকম অসামর্থ্যতার অধীন হবেন। তবে শর্ত হচ্ছে, এ ধারার কোনো কিছুই ওই ব্যক্তিকে ধর্মীয় পদ বা চাকরির, বা কোনো ধর্মীয় বা দাতব্য ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনার কোনো অধিকার প্রদান করবে না।সম্পত্তির উত্তরাধিকার: হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈন ধর্মে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি, যিনি এ আইনের অধীন বিয়ে করেছেন, তার সম্পত্তির, এবং এ বিয়ের ফলে জাত সন্তানের সম্পত্তির উত্তরাধিকার ‘উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫’ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে।ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে এ বিয়ে হতে পারে, যাদের কেউই মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, ইহুদি, পার্সি, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্মে বিশ্বাস করেন না। কিংবা ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে এ বিয়ে হতে পারে, যাদের প্রত্যেকেই এর একটি বা অন্য ধর্মে বিশ্বাস করেন—হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন। এ ছাড়া যেসব ব্যক্তি হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্মে বিশ্বাসী, এ আইন দ্বারা তাদের জন্য বিয়ের বিকল্প একটি ধরন নির্ধারণ করা হয়েছে। আরও উল্লেখ করা প্রয়োজন, যেসব বিয়ের বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে, সেসব সুনির্দিষ্ট বিয়ের বৈধতা দেওয়া হয়েছে এ আইন দ্বারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat