আজ থেকে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধক টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রথম দফায় সিলেট বিভাগে প্রায় ৬৭ হাজার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা ভ্যাকসিন পাবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) সিলেট অঞ্চল, জেলা সিভিল সার্জন অফিস ও সিলেট সিটি করপোরেশন এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
জানা গেছে, সিলেট বিভাগের সিলেট ও হবিগঞ্জে টিকাদান শুরু হবে বুধবার। এর পর দিন থেকে সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের পরীক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন প্রতিটি জেলা ও উপজেলার পরীক্ষার্থীরা টিকার আওতায় আসবে। এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরুর আগে সব পরীক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, শুরুতে অর্থাৎ আজ বুধবার থেকে সিলেট নগরীর দ’ুটি কেন্দ্র-সিলেট সরকারি মহিলা কলজ ও সিলেট এমসি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে। প্রথম দিনে মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৪৫০ জন ও এমসি কলেজ কেন্দ্রে ৫৬০ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ভ্যাকসিন দেয়া হবে। প্রথম দফায় আজ বুধবার থেকে সরকারী ছুটির দিন ছাড়া চলতি মাসের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার মোট ২২টি কলেজ মাদ্রাসার ৮ হাজার ৬০০ জন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বাড়ানো হতে পারে। কোন তারিখে কোন কেন্দ্রে কোন কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে সেটা ইতোমধ্যে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
মাউশি সিলেট আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন সব কলেজের পরীক্ষার্থীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার জন্য যারা ফরম পূরণ করেছে তাদেরই টিকা দেয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত দিনে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি প্রদর্শন করে টিকা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নমুনা টিকা কার্ড সংগ্রহ করে ওই কার্ড পূরণ করে সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। পরে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন সাপেক্ষে তারা টিকার সনদ পাবে।
সিলেট শিক্ষা অফিস জানায়, বুধবার থেকে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ ও সিলেট এমসি কলেজ কেন্দ্রে ৪টি বুথের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন এলাকার শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। পরবর্তীতে উপজেলা পর্যায়ে টিকার ব্যবস্থা করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সিলেট অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো. আব্দুল মান্নান খাঁন বলেন, এবার সিলেট শিক্ষাবোর্ডের ৬৭ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর আগেই টিকার আওতায় আনা হবে।
সিলেটের ডেপুটি সিভল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবার প্রথমেই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সিলেট বিভাগের চার জেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেয়ার জন্য আমেরিকার তৈরি ‘ফাইজারের’ ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত মওজুদ রাখা হয়েছে। তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে। কভিড-১৯ টিাকার আওতায় চলতি মাসের শুরুর দিকে ঢাকায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।