×
ব্রেকিং নিউজ :
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী কুকি-চিনের নারী শাখার সমন্বয়কসহ দুইজন বান্দরবানের কারাগারে সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন রাঙ্গামাটির লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : চট্টগ্রামে টিআইবি কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরী সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-০২-১৫
  • ৭৩৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী  এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তীতে বাংলাদেশকে প্রথমেই স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশসমূহের মধ্যে জাপান অন্যতম। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাপান সফর করেন এবং সীমিত সম্পদ, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা থাকা বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।’ ‘জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী  আজ একথা বলেন। দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই), জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো), ঢাকা এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই) যৌথভাবে আজ বিকালে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বাংলাদেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে জাপান এককভাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ অবদান রেখে এসেছে। আমাদের জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে জাপান সফরকালে উভয় দেশের মাঝে কমপ্রিহেন্সিভ পার্টনারশিপ সাক্ষর করেন এবং সময়ের সাথে সাথে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে জাপান এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী দেশের অবদান অপরিসীম।
জাপানকে এশিয়ায় বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যেরও রপ্তানির অনেক সুযোগ রয়েছে। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে এবং মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬শ ডলারে, যা ২০০৮ সালের তুলনায় সাড়ে চার গুণ। তিনি বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে এবং চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইকনোমিক জোনে অধিক পরিমাণে জাপানি বিনিয়োগের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশন (জেবিসিসিইসি)’র চেয়ারম্যান তেরু আসাদা সিবিই, চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, টোকিও জেটরো হেডকোয়ার্টার-এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুইও নাকাজো, জাপানিজ কমার্শিয়াল এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এসোসিয়েশন ইন ঢাকা’র সভাপতি হিকারী কাওয়াই, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আসিফ এ চৌধুরী এবং চিটাগাং চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বক্তব্য রাখেন।
জেটরো’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইওজি আন্দো এবং জেবিসিসিআই’র সেক্রেটারি জেনারেল তারিক রাফি ভূঁইয়া যৌথভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন । অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম ফাহিমসহ প্রায় ৩০০ ভিউয়ার অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু জাপান সফরের পর ১৯৭৪ সালে জাপানের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন এবং যমুনা ব্রিজ, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও ঘোড়াশাল সার কারখানা স্থাপনে সহায়তা করে। চিটাগাং চেম্বার, জাপান চেম্বার এবং জেটরো দুই দেশের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করে চলছে। জাপান-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে জাপান সহযোগিতা করবে জানিয়ে চলমান মহামারিশেষে অদূর ভবিষ্যতে চট্টগ্রামে বে-অব বেঙ্গল গ্রোথ সামিট আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।    
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সফর এবং সুসম্পর্ক অব্যাহত রাখার যে ঘোষণা তা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরো তরান্বিত করবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন।  তিনি বলেন, বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপান আমাদের সহযোগিতা করে আসছে যার মধ্যে কিছু প্রকল্প ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং আরো কিছু বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। জাপানের সহযোগিতায় ঢাকা এমআরটি, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যাবে।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক রপ্তানি বাজারকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। কাজেই, আমাদের কমপ্রিহেন্সিভ পার্টনারশিপকে কাজে লাগিয়ে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার নতুন দিক উন্মোচন এবং উভয় দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করার এটি উপযুক্ত সময়। আমাদের সম্পর্কের এই সুবর্ণ সময়ে বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার ও তা সদ্ব্যবহারে বি-টু-বি কর্মকাঠামো সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে উভয় সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat