×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-০২
  • ৬২৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে ১,৬৭,৮৩০ একর খাস জমি বরাদ্দের মাধ্যমে ১,৪৭,৩২৩ ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করেন।
বঙ্গবন্ধু সরকারই সর্বপ্রথম ভূমিহীন, দুস্থ ও নদীভাঙন কবলিত মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য দেশে গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর ক্লার্কে চারটি গুচ্ছ গ্রাম, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দিয়ারা বালুয়ায় একটি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছায় একটি এবং ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশে একটি গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। সাতটি গুচ্ছ গ্রামে ১,৪৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্তদেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই জাতির পিতা দুই কোটি বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়ে তিনি ১৯৭২ সালের জুন পর্যন্ত ছয় মাসব্যাপী পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল ভারত থেকে উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে আনা গৃহহীনদের জন্য অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা এবং কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমোর ও তাঁতিদের তাদের অর্থনৈতিক জীবনে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
১৯৭২ সালের জানুয়ারির মধ্যে প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারত থেকে দেশে ফিরে আসে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু সরকার কোনো নতুন কর আরোপ না করেই ৫৫০ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির একটি ‘পুনর্বাসন বাজেট’ প্রণয়ন করে।
সরকার পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে এবং পরে ৪,৪৫৫ টাকা দিয়ে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
যুদ্ধোত্তর পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ভূমিহীন, দুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ১ লাখ ৪১ হাজার মণ খাদ্যশস্য বিতরণ, নয় লাখ বাড়ী পুনর্গঠন এবং ৯ হাজার প্লট বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি টাকার সরকারি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেসরকারি খাতের বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে ৮২৫ কোটি টাকা।
আবাসন সমস্যা সমাধানে পুননির্মাণের কাজকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এগুলো হলো ইমারত অধিদপ্তর, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পূর্ত অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর, পুলিশ অধিদপ্তর, পর্যটন কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ রাইফেলস সার্ভে বিভাগ।
বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতে’ অর্থের ব্যবস্থা করা হয়। ফলস্বরূপ, ২০,৪৩০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল, যেখানে ১৫ মিটার উঁচু সহ ১৩৭টি বহুতল আশ্রয় কেন্দ্র এবং ১৩৭টি ‘মাটির কেল্লা’ নির্মাণ করা হয়েছিল।
স্থানীয়ভাবে ‘মুজিব কেল্লা’ নামে পরিচিত এসব মাটির তৈরি দুর্গে মানুষের পাশাপাশি পশুপালের আশ্রয়ের ব্যবস্থা ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat