×
ব্রেকিং নিউজ :
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ বরগুনায় স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন পিরোজপুরে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিক উদযাপনে প্রস্তুতি সভা রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২২-১২-০৪
  • ৫৪৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস আজ ৪ ডিসেম্বর।১৯৭১ সালের এ দিনে পািকস্তানী-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী অঞ্চলকে শক্রমুক্ত করে। এ উপলক্ষে আজ সকালে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে ঝিনাইগাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনটি পালন করে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার টেলিগ্রাম বার্তাটি পৌছায় ঝিনাইগাতী সাবেক ইপিআর বাহিনীর ভিএইচএফ ওয়ারলেস অফিসে। পরদিন শেরপুর কলেজের জিএস ফকির আব্দুল মান্নান শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দের হাতে বার্তাটি পৌছে দেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭১ সনের ২৭ মার্চ সকালে শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে দেশকে শক্রমুক্ত করাসহ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। শুরু হয় প্রতিরোধ সংগ্রাম। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া পাতার ক্যাম্পে বাঙ্গালী যুবকদের প্রশিক্ষণ শিবির খোলা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ওইসব স্বেচ্ছাসেবক, মুজিব বাহিনী ও ইপিআর সৈনিকদের নিয়ে ঝিনাইগাতীর নকশী ইপিআর ক্যাম্পের সুবেদার আব্দুল হাকিম প্রথমে মধুপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
৩ আগস্ট নকশী পাকিস্তানী ক্যাম্প আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। ওই সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর ৩৫ জন সেনা নিহত হয়। ২৭ নভেম্বর কমান্ডার জাফর ইকবালের (অবসরপ্রাপ্ত সোনালী ব্যাংকের জিএম) নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী বাজারের রাজাকার ক্যাম্প দখল করেন। ওই সময় ৮ রাইফেলসহ ৮ রাজাকারকে ধরে নিয়ে যায়। এভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের উপুর্যুপরি আক্রমণে হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে।
অবশেষে কামালপুর দুর্গ পতনের আগাম সংবাদ পেয়ে ৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টায় ঝিনাইগাতীর শালচুড়া ক্যাম্পের পাকিস্তানী বাহিনী পিছু হটে। এরপর আহমদ নগর পাকিস্তানী হেডকোয়ার্টারের সৈনিকদের সঙ্গে নিয়ে রাতেই মোল্লাপাড়া ক্যাম্প গুটিয়ে শেরপুর শহরে আশ্রয় নেয়। আর বিনাযুদ্ধে ঝিনাইগাতী শক্রমুক্ত হয়। ৪ ডিসেম্বর ভোরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্ত ঝিনাইগাতীতে প্রবেশ করে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat