×
ব্রেকিং নিউজ :
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ বরগুনায় স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন পিরোজপুরে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিক উদযাপনে প্রস্তুতি সভা রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০১-১২
  • ৫০৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

মোঃ হাবিবুর রহমান,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- প্রায় ৫শ বছরের পুরানো ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার গুজিশহর পৌষ সংক্রান্তী প্রেম গোসাই,, মেলা। বাংলার প্রতিবছরে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে পৌষের ৩০ তারিখে মেলা শুরু হয়ে চলে মাসব্যাপী। এই মেলা গ্রাম বাংলার লোকজ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য উপজেলার সংস্কৃতির ইতিহাস বহন করে আসছে।
মেলাটির উৎপত্তি কবে নাগাদ তা নিয়ে নানা ব্যক্তির নানা মত থাকলেও বংশ পরম্পরায় ও লোকমুখে শুনে আসা সন্ন্যাসীদের আগমন ও তাদের কর্মকাণ্ড থেকেই এ মেলার উৎপত্তি। যা এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
স্হানীয় প্রবীন ব্যক্তিদের কাছে থেকে জানা গেছে, এ মেলা ঘিরে পুরো উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ আসে মেলা দেখতে। কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, শীতের পোশাক, মেয়েদের কসমেটিকস সামগ্রী, জুতা-সেন্ডেলের দোকানসহ বাচ্চাদের আনন্দের বিভিন্ন পণ্য থাকে এ মেলায়। চিত্তবিনোদনের জন্য এ মেলায় রয়েছে “গ্রামীণ যাত্রাপালা ” ও সার্কাস। মেলা দেখে মেলায় তৈরি বিক্ষাত ৩/৪ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির মিষ্টিসহ বাহারি রকমের মিষ্টি ও বিখ্যাত লুচি-বুন্দিয়া সঙ্গে নিয়ে যায় মেলা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা।
গুজিশহর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম (৭০) বলেন, এ মেলা জন্মের পর থেকে দেখে আসছি। বংশপরম্পরায় এ মেলা চলে আসছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দর্শনার্থীরা আসে। মেলা চলাকালীন আমাদের এলাকায় আত্মীয় স্বজন আসার হিড়িক পড়ে যায়। প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম মেলা থেকে কেনা হয়।
মেলায় মিষ্টার দোকান নিয়ে আসা দোকানদার বলেন, ৩০ বছর থেকে এ মেলায় ব্যবসা করে আসছি। খুব ভালো আয়োজন এ মেলার। বেচাকেনা ভালো হয় বলে কোন বছর এ মেলা করতে ছাড়িনি।
মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, করোনার ভয়াল গ্রাসে পরপর দুবছর এ মেলা হয়নি। এ বছর আবার বসছে এ মেলা। এ মেলার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনেক পুরানো। এ মেলা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে গুজিশহর মসজিদ, মন্দির, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাইস্কুলের উন্নয়নপূলক কাজ করা হয়। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। মেলা কমিটির সকল সদস্যরা এ মেলাকে প্রাণবন্ত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat