×
ব্রেকিং নিউজ :
টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি মানবপাচার মামলায় মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে টঙ্গী থেকে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত শাটল বাস চালু ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে : জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা কেউ আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী আরটিআই আইনে তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে হবে : ড. আবদুল মালেক এসওইগুলোকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট ডেটা : অর্থ প্রতিমন্ত্রী বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন জাতির জন্য নিবেদিতপ্রাণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সঠিক : সালমান এফ রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-১৪
  • ৮২৪৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী অক্টোবর মাসে চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রকল্পটির কাজ ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
এ ব্যাপারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। নির্বাচনের আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়া হচ্ছে চট্টগ্রামবাসীর জন্য সরকারের উপহার।
জানা যায়, নগরীর যানজট নিরসনে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একনেক সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প অনুমোদন পায়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৬ দশমিক ৫ মিটার চওড়া এই অবকাঠামোর প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যেই পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার টার্গেট রয়েছে সংশ্লিস্টদের।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সুত্র জানায়, যৌথভাবে নির্মাণকাজ পায় বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও চীনা প্রতিষ্ঠান র‌্যাঙ্কিন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে মেয়াদ ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মোট নির্মাণ ব্যয় ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।
প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুরো কাজ টেকনিক্যাল ও ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা সব ধরনের ঝুঁকি ম্যানেজ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে কাজ একেবারে শেষ দিকে চলে এসেছে। ফ্লাইওভারের উপর রাস্তা তৈরির কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। দিনে-রাতে চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা থেকে সল্টগোলা ক্রসিং পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। সল্টগোলা থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত এলাকার কাজও একেবারে শেষ পর্যায়ে। শুধু বারিক বিল্ডিং এলাকায় তিনটি স্প্যানের কাজ বাকি। এটির কাজও চলছে। চৌমুহনী থেকে ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির সামনের এলাকা পর্যন্ত কাজ বাকি। এর মধ্যে অধিকাংশ পিলার তৈরি ও পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এটিই আমাদেরকে আগামী আড়াই মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। সাম্প্রতিক দুর্যোগ আমাদেরকে কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পের অধীনে ৯টি জংশনে ২৪টি র‌্যাম্প (গাড়ি ওঠানামার পথ) হচ্ছে। এর মধ্যে টাইগারপাসে ৪টি, আগ্রাবাদে ৪টি, বারিক বিল্ডিং মোড়ে ২টি, নিমতলা মোড়ে ২টি, কাস্টম মোড়ে ২টি, সিইপিজেডে ৪টি, কেইপিজেডে ২টি, কাঠগড়ে ২টি ও পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় ২টি র‌্যাম্প থাকছে। চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ের প্রশস্ততা হবে ৫৪ ফুট। এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে আড়াই হাজার এলইডি লাইট।
প্রসঙ্গত, ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে শহরের যে কোনো অংশ থেকে ২০ থেকে ২৫ মিনিটে বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করা যাবে। লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা সৈকত পর্যন্ত বলা হলেও মূলত এক্সপ্রেসওয়ে শুরু হচ্ছে বহদ্দারহাট থেকে। বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার থেকে নেমে মুরাদপুর, লালখান বাজারের বিদ্যমান আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সাথে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পাশে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে মুরাদপুর থেকে ফ্লাইওভারে ওঠা কোনো গাড়ি সরাসরি পতেঙ্গা সৈকত বা টানেল রোড পর্যন্ত যেতে পারবে।
পতেঙ্গা থেকে শহরে আসা গাড়িগুলো টাইগারপাস হয়ে লালখান বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির সামনে নিচে নামবে এবং যাদের মুরাদপুর বা বহদ্দারহাট কিংবা ওই রোড ধরে অন্য কোথাও যাওয়া দরকার তারা লালখান বাজার থেকে আবারো ফ্লাইওভারে চড়তে পারবে। টাইগারপাসে পাহাড় না কাটার জন্য এক্সপ্রেসওয়ের চার লেনের মধ্যে দুই লাইন নিচে নামিয়ে দিয়ে ডিজাইন করা হয়। মূল ফ্লাইওভার থেকে পরবর্তীতে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে লুপ ও র‌্যাম্প নামানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat