×
ব্রেকিং নিউজ :
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী কুকি-চিনের নারী শাখার সমন্বয়কসহ দুইজন বান্দরবানের কারাগারে সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন রাঙ্গামাটির লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : চট্টগ্রামে টিআইবি কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরী সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১২-০৭
  • ৩৪৭৭০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে আমরা ইতোমধ্যেই ৫০০টি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু করেছি। 
আজ সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব কনভেনশন হলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক ৯-১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামী ৯-১৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ ৬ দিনব্যাপি পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক (শিক্ষা) প্রফেসর টিটু মিয়া এবং ইউএনএফপিএ- এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোকসসহ আরো অনেকে। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু। সভায় জুম অনলাইনে দেশের ৮০টি উপজেলা হাসপাতাল স্বাস্থ্য প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখনো ৬৫ হাজার শিশু এবং সাড়ে ৪ হাজার মা বছরে মাতৃত্বকালীন মারা যায়। এই সংখ্যা অনেক। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার আমরা অন্তত ৫ ভাগ মা ও শিশু মৃত্যু হার কমাতে সক্ষম হয়েছি। তবে মা ও শিশু মৃত্যু হার বিগত বিএনপি-জামাত সরকারের তুলনায় এখন অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবুও এখনো বছরে এত মৃত্যু কোনভাবেই কাম্য নয়। এখন আমাদের আগামীর লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ৭০ শতাংশ কমাতে হবে ও শিশু মৃত্যুহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে, মায়েদের হোম ডেলিভারির পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র সমূহকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে। 
বর্তমানে প্রাইভেট স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আশংকাজনক হারে সিজারিয়ান ব্যবস্থা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন সিজার করে বাচ্চা নেবার হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনা কারণেই অনেক মায়েরাও সিজার করে বাচ্চা নিতে আগ্রহী থাকেন। এটি কাম্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ঐ মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও সারা জীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে। এটি এভাবে চলতে পারে না। দেশে হোম ডেলিভারি এবং সিজার করে বাচ্চা নেয়া অর্ধেকের বেশি কমাতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat