×
ব্রেকিং নিউজ :
দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক সমন্বয় সভা নড়াইলে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯ মেট্রিক টন চাল প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হলেন সৈকত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ১৯৭০-০১-০১
  • ১০০৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রেক্ষাপট : ২৭ জুন ও ১ জুলাই
গত কয়েকটি সপ্তাহ একান্তভাবেই রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কলাম লিখেছি। এটা আংশিকভাবে সত্য যে, সিরিয়াসলি রাজনীতি নিয়ে চিন্তা করতে অভ্যস্ত লোকের সংখ্যা বেশি নয়। যিনি চিন্তা করতে আগ্রহী নন, তিনি চিন্তার খোরাক কেন সংগ্রহ করবেন? দৈনন্দিন রাজনীতি এক জিনিস এবং দূরদর্শিতাপূর্ণ রাজনীতি আরেক জিনিস। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনের জাতীয়তাবাদী অংশে বেশির ভাগই ‘দিন আনি দিন খাই’ এরূপ শ্রমজীবী মানুষের মতোই রাজনীতি চর্চা করছেন। রাজনীতিতেও সকালে উঠে চিন্তা করি কী করব, সন্ধ্যার মধ্যে ‘পারলে করলাম, না পারলে থুক্কু’। পরের দিন আবার চিন্তা করি। তাই রাজনৈতিক বিষয় নিয়েই লিখছি। আজকের লেখার প্রেক্ষাপট অনেক কিছুই, কিন্তু একটি রাজনৈতিক ঘটনাকে বেছে নিয়ে আজকের কলাম লিখছি। ২৭ জুন ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের বড় মিলনায়তনে ব্যাপক মিডিয়া উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত একটি প্রাণবন্ত প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ নামে একটি আন্দোলনের বা রাজনৈতিক প্রবাহের সূচনা; নব উন্মেষ ঘটা ওই ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’-এর ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পয়লা জুলাই অনুষ্ঠিত হয় একটি সফল ও প্রাণবন্ত আলোচনা সভা। উভয় ক্ষেত্রেই অনুষ্ঠানমালা ফেসবুকে একাধিক শুভাকাক্সক্ষী ব্যক্তির পেজ থেকে ‘লাইভস্ট্রিমিং’ করা হয়েছিল, সেটি ‘গুগল-ভাই’-এর বদৌলতে এখনো ভার্চুয়াল জগতে আছে। ‘মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক’ এই শিরোনামের পেজে গেলে তা পাওয়া যাবে।

দুইজন রাজনীতিবিদের পরিচয় : এক
বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত রাজনৈতিক মুখ হলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ড. অলি আহমেদ বীর বিক্রম। তিনি ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম মহানগরের ষোলশহরে অবস্থানরত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে ক্যাপ্টেন ছিলেন। ওই অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক ছিলেন একজন অবাঙালি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশিদ জানজুয়া এবং উপ-অধিনায়ক ছিলেন একজন বাঙালি ও তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। ১৯৭১-এর মার্চের কথা বলছি। তৎকালীন চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। ব্যাটালিয়নের বিদ্রোহের পরিকল্পনা ও সমন্বয়ে অগ্রদূত ছিলেন তৎকালীন ক্যাপ্টেন অলি আহমেদ। বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান; বাঙালি সহযোগী অফিসারদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রগামী ছিলেন তৎকালীন ক্যাপ্টেন অলি আহমেদ। ২৫ মার্চ ১৯৭১ দিনের শেষে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। ২৭ মার্চ তারিখে তৎকালীন চট্টগ্রাম শহরের অদূরে অবস্থিত কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন প্রথমে নিজের নামে ও পরে বঙ্গবন্ধুর নামে। ক্যাপ্টেন অলি আহমেদ সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন, সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং যখন ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে জেড ফোর্স নামক একটি ব্রিগেড সংগঠিত করা হয়, সেটির ‘ব্রিগেড মেজর’ নিযুক্ত হন। যুদ্ধকালেই তিনি ‘বীর বিক্রম’ খেতাব পান; এটা ব্যতিক্রম। স্বাধীন বাংলাদেশে তার পরিচয় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর (১৯৭৬-১৯৮১); আন্দোলন-সংগ্রামে (১৯৮২-১৯৯০) দেশনেত্রী বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহচর; ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬-এর বিএনপি দলীয় সরকারে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। তিনি মোট ছয়বারের এমপি। বিএনপিতে থাকার শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম জ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে, পর্যবেক্ষকদের মতে তিনি অবহেলিত ছিলেন; ওই সময় প্রাপ্ত মোটামুটি ফ্রি সময়টি তিনি কাজে লাগিয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। ২০০৬ সালের অক্টোবরে বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার দু-এক দিন আগে, অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপি ও অন্যান্য নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এলডিপি নামক নতুন দল গঠন করেন। ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনের সময় এলডিপি নামক দলটির ক্রমিক নম্বর ছিল এক। ২০১১-১২ সাল থেকে ১৮ দলীয় বা ২০ দলীয় জোটে অন্যতম শরিক এ দল; পর্যবেক্ষকদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি অবহেলিত। বিগত ১২ বছরে এলডিপি নামক দলটির মহাসচিব পদে রদবদল হয়েছে। বর্তমানে যিনি আছেন তিনিও রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং গার্মেন্ট সেক্টরের বিখ্যাত শিল্পপতি ও নেতা। অতি সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের আওতাভুক্ত থেকেই নতুন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন যার নাম দেয়া হয়েছে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’। পাঠক এই কলাম পড়ছেন বুধবার, ১০ জুলাই; পাঁচ দিন আগে ৫ জুলাই এই নয়া দিগন্তেই সাবেক এমপি ও সুপরিচিত কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনিও এ প্রসঙ্গে লিখেছেন। আমার মতে, ৮০ বছর বয়সী অলি আহমেদ একজন পোড়খাওয়া রাজনৈতিক নেতা, রাজনৈতিক জীবনের উত্থান-পতনে অভিজ্ঞ, রাজনৈতিক জীবনে স্থান ও অবস্থান বদল করলেও জাতীয়তাবাদী ঘরানার বাইরে যাননি, আপদ-বিপদ মোকাবেলার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ ব্যক্তি। তার লেখা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই আছে। সরকারি ও বেসরকারি কাজে বহু দেশ ও রাজধানী সফর করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat