×
ব্রেকিং নিউজ :
গণভোটের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সুযোগ নেই: নাহিদ ইসলাম নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে জামায়াত-এনসিপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা নেত্রকোণায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত বগুড়ায় প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যের প্রদর্শনী সুনামগঞ্জে ‘ইসিএ’ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ৩৫৫ কোটি টাকা, সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ভূমি সেবা সত্যিকারার্থে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে: ভূমি সচিব পুঁজিবাজারে অনিয়ম : সাবেক চেয়ারম্যানসহ দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জাবি ভিসির
  • প্রকাশিত : ২০১৮-১২-০১
  • ৫০৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
সকল ধরনের গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করার দাবি ঐক্যফ্রন্টের
নিউজ ডেস্ক:–দলীয় অানুগত্য ও ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একইসঙ্গে সকল ধরনের গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। ঐক্যফ্রন্ট আশা প্রকাশ করে জানায়, আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেপ্তার বন্ধ হবে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেবে৷অন্যথায় নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলেও জানান ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। এসময় ড. কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না৷ লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ দেশ ও সরকারের ওপর তাদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে। নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,ঐক্যফ্রন্টের সব দলই এ ব্যাপারে সচেতন। যাচাই বাছাইয়ের পর দেশের সব আসনেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একক প্রার্থী নির্ধারিত হবে। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, আমি দেশের সমস্ত জনগণ এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ করবো। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমার আহ্বান তারা যেন নিরপেক্ষভাবে,স্বাধীনভাবে এবং ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে তাদের দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ-সব কর্মকর্তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান আপনারা দলীয় অানুগত্যের ঊর্ধ্বে উঠে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। যদি জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারেন তাহলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বই হুমকির মুখে পড়বে। কামাল হোসেন বলেন, সবাই আশংকা করছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দেয়া হবে। যদি বাধা দেয়া হয় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষা করতে হবে। আমার অনুরোধ, ভোটারদের সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে যেতে বলবেন, যেন নিজেদের ভোট দিতে পারেন। বাধা দিলে আপনারা তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন। আপনারা (সাংবাদিকরা) সঠিক তথ্য প্রচার করবেন। তিনি বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এটা দয়া, মায়ার ব্যাপার না৷ জনগণের মালিকানার বিষয়। কোনো রকমে অবাধ নিরপেক্ষতার আইনের লংঘন করা হলে আপনারা ধরিয়ে দেবেন, দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। মিডিয়াকে তা ধরিয়ে দিতে হবে৷ ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না তার কারণ কি নির্বাচন হবে কিনা সে আশংকা থেকে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটাতে কোনো রহস্যের ব্যাপার নেই। আমার বয়স ৮০ বছর। বঙ্গবন্ধুর সময় আমার সাথে কেবিনেটে যারা ছিলেন তাদের কেউ নেই। একজন আছেন, কিন্তু তার অবস্থা বেঁচে না থাকার মতোই। শুধু আমি একটু কাজ করতে পারছি। এই অবস্থায় আমার নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এতোগুলো যোগ্য ব্যক্তি রাজনীতি করছেন। তাতে আমার ভালো লাগছে। আর নির্বাচন করছি না ঠিকই। কিন্তু আমি কাজ থেকে সরে যাচ্ছি না। আমার নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত আজকের না। এতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজা উচিত না। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অবাধ নির্বাচন করতে হলে তার জন্য যে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে ড.কামাল বলেন, একটি সুষ্ঠু পরিবেশ লাগবে। সুষ্ঠু পরিবেশের পরিপন্থী হলো পাইকারি হারে গ্রেপ্তার করা। এটাকে সুষ্ঠু পরিবেশ বলা যায় না। স্বাভাবিক সুষ্ঠু পরিবেশ না হলে নির্বাচন করা যায় না৷ এসময় গ্রেপ্তারের তালিকা দেখিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও ৬৮১ জন এর উপরে গ্রেপ্তার করেছে৷ এরমধ্যে ৩ জন প্রার্থীও আছেন। এটা করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা যেন পালন করা হয়৷ গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্ত করা হোক। এসময় বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। কিন্তু তফসিলের পরও আটক করা হচ্ছে। এভাবে চললে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি না দিলে জনগণের কাছে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। আশা করবো, ড. কামাল হোসেনের এই সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেপ্তার বন্ধ হবে। অন্যথায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী,সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান(বীর প্রতিক) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মুনসুর প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat