- প্রকাশিত : ২০১৮-১২-১৩
- ৪৬৯ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
নিউজ ডেস্ক:–প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য আফেয়ার্স ও উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম রেজুলেশনটি উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাব উপস্থাপনকালে উপস্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত মূল্যবোধ ও নীতিসমূহের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছে এবং শান্তির সুরক্ষা ও প্রসারে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়টিতে সর্বদাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি সমাজের সকলকে সাথে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন আরিফুল ইসলাম।
‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনের ২০ বছর পূর্তির বিষয়টি উল্লেখ করে আরিফুল বলেন, ‘২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশনটির ২০তম বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য ৭৩ তম সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্টকে ঐ তারিখে একটি উচ্চপর্যায়ের ফোরাম আয়োজনের জন্য এবারের খসড়ায় অনুরোধ জানানো হয়েছে’। উপস্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, সকল মানুষই ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রত্যাশী। আর শান্তির সংস্কৃতি’র বিকাশ ও চর্চার মাধ্যমেই বিভেদ এবং বিভাজনের মতো বিষয়গুলোর সৃজনশীল সমাধান করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি প্রথম উপস্থাপন করে এবং সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন হিসেবে পাশ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘শান্তির সংস্কৃতি দশক’ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে। ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ রেজুলেশনটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে।
প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে - অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা সমাজ থেকে দূরীভূত হলে বিশ্বে শান্তি দীর্ঘায়িত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। এবারের রেজুলেশনে সন্ত্রাস মোকাবিলা, শান্তি বিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি নিশ্চিতকরণে শান্তির সংস্কৃতির অবদানের বিষয়টি স্বীকৃত হয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..