×
ব্রেকিং নিউজ :
ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার কৃষকবান্ধব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে :রেলপথ মন্ত্রী আগামীকাল থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের বিডিইউতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পরিবেশ সাংবাদিকতা সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৪-০৯
  • ৭৫৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

পণ্যে ডিউটি স্তরে সামঞ্জস্য করা হলে আমদানি বৃদ্ধি পাবে এবং বর্তমান সংকট কেটে যাবে। ঈদ উৎসবের প্রায় ৩ থেকে ৬ মাস আগে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় আয়োজন করে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। পাইকারি ও খুচরা সবক্ষেত্রে ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের তালিকা প্রকাশ এবং উভয়ের মধ্যে দামের পার্থক্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা উচিত।
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বিষয়ে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আজ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (এডমিন এন্ড ফাইন্যান্স) মো. ইকবাল হোসেন, পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু রায়হান দোলন, সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল ওয়ারিশ, চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ একেএম আক্তার হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ ও মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বারের সাবেক পরিচালক ছৈয়দ ছগীর আহমদ, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বিএসএম গ্রুপ চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী, মীর গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, রিয়াজউদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, আখতারুজ্জামান সেন্টার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, আন্ত:জিলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার সাবেরী, পুলিশ প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. সায়েম বক্তব্য রাখেন।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, কোভিড অতিমারির দুই বছর ও সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্য পৃথিবীব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন নতুন করে লকডাউন দেয়ার কারণে তৈরিপোশাক খাতের অনেক কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এক কোটি মানুষকে টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকিমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রদানে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। চিটাগাং চেম্বারও প্রতি বছরের ন্যায় ভর্তুকিমূল্যে চাল, চিনি ইত্যাদি বিক্রয় করছে। তবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মিলার, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখা জরুরি। বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকটি মাত্র মিল রয়েছে। কাজেই আমদানি উৎসাহিত করতে হবে। টিসিবির মাধ্যমে ফিনিশড প্রোডাক্ট আমদানি করা যায়।
চেম্বার সভাপতি মিল গেইটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয়সহ এসও, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে জোরদার মনিটরিং-এর মাধ্যমে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে কাজ করার কথা জানান।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, রমজান উপলক্ষে ভোগ্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্ব প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উৎপাদন ও সাপ্লাই চেইনে ঘাটতিজনিত অস্বস্তিকর বাজার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভোক্তাসাধারণ যাতে সহনীয় এবং ন্যায্যমূল্যে দ্রব্যমূল্য ক্রয় করতে পারে এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছে।
মহাপরিচালক চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস হ্রাসকরণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম থেকে আইপি ইস্যু/নবায়ন যাতে করতে পারে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানান।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল হোসেন, পিপিএম বলেন, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে মহাসড়কে কোন ধরণের হয়রানি যাতে না হয় সেই লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেকোন অভিযোগ পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।
অন্যান্য বক্তারা ফিনিশড প্রোডাক্ট ও আনফিনিশড প্রোডাক্ট আমদানির ক্ষেত্রে ডিউটি স্ট্রাকচার যৌক্তিকহারে নির্ধারণ, পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ করা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা, অতীতের আইনসমূহ যুগোপযোগী করা, চাহিদার পূর্বাভাস প্রাক্কলন, বেশি বেশি আমদানি উৎসাহিত করা, মিল থেকে মেমো অনুযায়ী তেল সরবরাহ করা, যানজট নিরসন ও অস্থায়ী দোকানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ, আমদানিকারকদের তালিকা প্রস্তুত করা, চাহিদার সঠিক তথ্য সরবরাহ, মূল্য নির্ধারণের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব প্রদান, তিন মাস আগে শুল্ক সমন্বয় করা, লোকাল এলসি’র ক্ষেত্রে ২ শতাংশ কর প্রত্যাহার করা, নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে সারা বছর ভোগ্য পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখা ইত্যাদি দাবি তুলে ধরেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat