×
ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার টাঙ্গাইলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলো জমজ দুইবোন বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৬-০৪
  • ৪৪২২৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো, শাহরিয়ার আলম আজ বলেছেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের জন্য মেধাস্বত্বের (আইপি) প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। তিনি বলেন, ‘এলডিসি-পরবর্তী যুগের চ্যালেঞ্জ  মোকাবেলায় মূল্য সংযোজন, বৈচিত্রীকরণ এবং নতুন বাজারে প্রবেশ বাড়াতে আইপি-এর শক্তির ওপর বিশেষ জোর দিয়ে এসএমইগুলির জন্য লক্ষ্যযুক্ত সহায়তা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি ঢাকার একটি হোটেলে ‘উৎপাদনের মূল্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা মেধাস্বত্ব সরঞ্জামের ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য মেধাস্বত্ব অধিকার রক্ষা করা জরুরি। তিনি বলেন, নারী মালিকানাধীন ব্যবসা এক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগের দাবি রাখে এবং সরকার এ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন রক্ষায় আমরা সম্প্রতি গৃহীত বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন ২০২২ এবং উদ্ভিদের জাত সুরক্ষা আইন-২০১৯ সহ বাংলাদেশে আইপিকে সুরক্ষা দেয়, এমন একাধিক আইন প্রণয়ন করেছি।’ তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ নকশা আইন-২০২৩ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন হয়েছে। এই ধরনের আইনি ব্যবস্থার অধীনে, বাংলাদেশে পেটেন্ট এবং ডিজাইনের জন্য আইপি নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তিনি বলেন, ‘আইপি সম্পদের সুরক্ষা, ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের শক্তির ওপর নির্মিত একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জনগণকে দক্ষতা ও জ্ঞানে সজ্জিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল হাসান ক্লেইবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী ডব্লিউআইপিওকে এই প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অমূল্য সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যের ব্র্যান্ডিং এবং প্যাকেজিং উন্নত করতে আইপি টুলস, বিশেষ করে ট্রেডমার্ক এবং শিল্প নকশাগুলোকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে, যা শেষ পর্যন্ত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের প্রবেশকে সহজতর করতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, একসাথে তারা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারেন, যেখানে নারী উদ্যোক্তারা উন্নতি লাভ করবেন, উদ্ভাবন বিকাশ লাভ করবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সবার জন্য বাস্তবে পরিণত হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসএমই বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদ- এবং বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর অবদান অমূল্য। বর্তমানে, এসএমই দেশের শিল্প ইউনিটের ৯০% এরও বেশি এবং উৎপাদনে মূল্য সংযোজনে ৪৫% অবদান রাখে। দেশে মোট এসএমই’র সংখ্যা ৭.৯ মিলিয়ন এবং এই খাতে প্রায় ২৪ মিলিয়ন লোক নিয়োজিত। দেশের মোট জনবলের ৩০% এখাতে নিযুক্ত এবং জিডিপিতে তাদের অবদান ২৫%-এ পৌঁছেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্যক্ষ প্রভাব ছাড়াও, এসএমই বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার সরবরাহ চেইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat