×
ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার টাঙ্গাইলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলো জমজ দুইবোন বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১১-০১
  • ৫৬৯৯২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) নতুন নতুন দেশি বিদেশি শিল্পকারখানা গড়ে উঠার ফলে বাড়ছে বিনিয়োগ। পাশাপাশি রপ্তানি বেড়েছে কয়েকগুণ। যার ফলে কুমিল্লা ইপিজেডে বাড়তি শ্রমিকের চাহিদা বাড়তে থাকে। বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেডে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই নারী শ্রমিক বলে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহবুব।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ কুমিল্লা বিমানবন্দর এলাকার ২৬৭ দশমিক ৪৬ একর জায়গা নিয়ে কুমিল্লা ইপিজেড প্রকল্প শুরু হয়। বর্তমানে এখানে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন পণ্য। আরও ৪টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে পণ্য উৎপাদনে। বিদেশি বিনিয়োগে ২৭টি, দেশি-বিদেশি যৌথ বিনিয়োগে ১৩টি এবং শুধু দেশীয় বিনিয়োগে চলছে ৮টি প্রতিষ্ঠান। বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও যুক্তরাজ্যসহ মোট ১৪টি দেশ।
কুমিল্লা ইপিজেডে পোশাক, ইলেকট্রনিক, ব্রাশ, মেডেল, ফুটওয়্যার, ক্যামেরার কেইস, ব্যাগ, লাগেজ, প্লাস্টিক পণ্য, হেয়ার ও ফ্যাশন অ্যাক্সেসরিজ, গ্লাভস, পেপার প্রোডাক্টসহ বিভিন্ন রকমের পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কুমিল্লা ইপিজেডের অবস্থান হওয়ায় পণ্য পরিবহনে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
কুমিল্লার ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহবুব  বলেন, গত ৫ বছরের মধ্যে কুমিল্লা ইপিজেডে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৩১ দশমিক শূন্য ৫ মার্কিন ডলার, ওই অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৪৯০ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৩৮ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ওই অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৪৬৪ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৬১ দশমিক শূন্য ২ মার্কিন ডলার, ওই অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৫৬৫ দশমিক ৮৫ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৬৭ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ওই অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৮১৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৫০ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ওই অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৭৯০ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি জামাল আহমেদ বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডে বিনিয়োগ বেড়েছে। তবে কুমিল্লার প্রাচীন বিমানবন্দরটি চালু হলে এখানে আরও বেশি বিনিয়োগ বাড়বে। যাতায়াত যত নির্বিঘœ করা যাবে ততই দেশি-বিদেশি পর্যটকরা আরও বেশি আকৃষ্ট হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat