×
ব্রেকিং নিউজ :
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী কুকি-চিনের নারী শাখার সমন্বয়কসহ দুইজন বান্দরবানের কারাগারে সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন রাঙ্গামাটির লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : চট্টগ্রামে টিআইবি কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরী সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২২
  • ১১২৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ নিয়ে নানা মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে মিয়ানমার। দেশটি বলছে, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে তারা বাংলাদেশকে একটি যাচাই ফরম বিতরণ করতে বলেছিল। অথচ বাংলাদেশ সে কাজে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। শুক্রবার মিয়ানমারের এ অভিযোগ তুলে ধরে দেশটির গণমাধ্যম ইরাওয়াদ্দি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে দেশটির মিথ্যাচারের অজস্র নমুনা ফুটে উঠেছে। মিয়ানমার সরকার বলছে, গত নভেম্বরে দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী এ ফরম বিতরণ করার কথা বাংলাদেশের। তারা (বাংলাদেশ) সেটা করেনি। গত ডিসেম্বরে মিয়ানমার প্রত্যাবর্তন ফরম বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে। এসব ফরম বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রদান করা হবে এবং তারা দেশটির বাসিন্দা কি না সেটা প্রমাণে বিভিন্ন তথ্য দেবে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ইউ উইন মায়াত আয়েসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুনের জাতীয় শান্তি ও পুনর্গঠন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন তারা। আয়েত বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। তারা (রোহিঙ্গা) সবাই বলেছে যে, কখনো এমন কোনও প্রত্যাবাসন ফরম দেখেনি তারা।’ মিয়ানমারের মন্ত্রীর দাবি, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান স্বীকার করেছেন, ‘৮ হাজার ৩২ শরণার্থীর পূরণ করা ফরমগুলোর বিষয়ে উভয় সরকার একমত হয়নি।’ আয়েত বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রন্ত্রীকে শরণার্থীদের মাঝে সঠিক ফরম বিতরণ করে দ্রুত সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’ মিয়ানমারের এ মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করলেও তারা (বাংলাদেশ সরকার) তা প্রত্যাখ্যান করে।’ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড (এনভিসি) দেওয়া হবে হবে দাবি করে ইউ উইন মায়াত আয়ে বলেন, ‘এ কার্ডধারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা, ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষাগ্রহণ এবং বিদেশেও যেতে পারবে। তারা (এনভিসি কার্ডধারী) পাঁচ মাস পর নাগরিকত্ব পাওয়ারও যোগ্য।’ মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের অভিযোগের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। প্রতিক্রিয়া দেখায়নি ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাসও। দেশটির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইউ হ্লা টুন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যাবাসন ফর্মের বিষয়ে শরণার্থীদের অভিযোগ শুনে আমরা অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছি। এছাড়া হিন্দু শরণার্থীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারিনি আমরা।’ প্রতিনিধি দলটিতে আরও ছিলেন, রাখাইনের পুনর্বাসন এবং উন্নয়নের জন্য মিয়ানমার সরকারের উদ্যোগের উপ প্রধান ইউ আং হুন থ্যাটি, মিয়ানমার মহিলা ফেডারেশন, দেশটির হিন্দু প্রতিনিধি ইউ হ্লা টুন পমুখ। রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না মিয়ানমার সরকার। আর সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে নানা সময় বাংলাদেশের দিকে ছুটে এসেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। সব শেষ গত আগস্টে রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর সেনা অভিযানের নৃশংসতার মধ্যে বাংলাদেশে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এদের সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এদের আশ্রয় হয়েছে কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলায় আশ্রয় শিবিরে। রোহিঙ্গাদের স্রোত শুরু হওয়ার পর বিষয়টি বাংলাদেশ তোলে জাতিসংঘে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও প্রথমে রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা স্বীকার না করলেও পরে ‘কিছু হত্যার’ বিষয়টি স্বীকার করেন দেশটির সেনা প্রধান। আর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে দিতে দেশটির সঙ্গে প্রথমে সমঝোতা স্মারক এবং পরে ফিজিক্যাল অ্যারাঞ্জমেন্ট নামে চুক্তিও হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বান্দরবান সীমান্তে দুই দেশের শূন্য রেখায় অবস্থানকারী আট হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকাও দেয়া হয় মিয়ানমারকে। কিন্তু প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। যদিও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাইয়ের নামে সেখান থেকে তিনশ মতো রোহিঙ্গাকে তাদের নাগরিক বলে দাবি করে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে না নিয়ে তালবাহানা করছে-এ কথা জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বাস্তবতায় রোহিঙ্গাদের জন্য মানসম্পন্ন আশ্রয় প্রকল্প নির্মাণে সরকারকে বিপুল টাকা খরচ করতে হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের কিউ সুই নামের মিয়ানমারের একজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফরে আসেন। সেসময় শরণার্থীদের মধ্যে কথিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শতাধিক সদস্য লুকিয়ে রয়েছেন বলে তথ্য দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat