×
ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার টাঙ্গাইলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলো জমজ দুইবোন বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-৩০
  • ৮৪২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- দেশের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতে রবিবার অন্তত ১৬ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চলতি মাসে এনিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু প্রায় ৫০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। দেশে গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে বজ্রপাতে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। বছরের এ সময়টিতে বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে বজ্রপাতও হচ্ছে ব্যাপকভাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাওহিদা রশিদ বলছেন, বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি সম্পর্ক আছে। বজ্রপাত বাড়ার কারণ কী? অধ্যাপক তাওহিদা রশিদ বলছেন, বিজ্ঞানীরা অনেকে মনে করেন বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য এটা বেশি হচ্ছে তবে অনেক বিজ্ঞানীই আবার এ মতের সাথে একমত নন। ‘তবে বাংলাদেশে আমরাও ভাবছি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই তাপমাত্রা বেড়েছে এবং এর কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশে দশমিক ৭৪ শতাংশ তাপমাত্রা বেড়েছে।’ বজ্রপাত বিকালে বেশি হয় কেন? তাওহিদা রশিদের মতে বজ্রপাতের ধরণই এমন। সকালের দিকে প্রচণ্ড তাপমাত্রা হয়। আর তখন এটি অনেক জলীয় বাষ্প তৈরি করে। এ জলীয় বাষ্পই বজ্র ঝড় ও বজ্রপাতের প্রধান শক্তি। তাপমাত্রা যত বাড়বে তখন জলীয় বাষ্প বা এ ধরনের শক্তিও তত বাড়বে। তিনি বলেন, ‘জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়া মানেই হলো ঝড়ের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়া। বছরে এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ১২শতাংশ বজ্র ঝড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এটি কোনো কোনো বিজ্ঞানী প্রমাণ করেছেন।’ প্রাণহানি এড়ানোর উপায় কী? তাওহিদা রশিদ বলেন বজ্রপাত প্রকৃতির একটি বিষয় এবং এটি হবেই। তবে এতে প্রাণহানি কমানোর সুযোগ আছে। ‘বজ্র ঝড় যখন শুরু হয় এর তিনটি ধাপ আছে। প্রথম থাপে বিদ্যুৎ চমকানি বা বজ্রপাত শুরু হয়না। প্রথমে মেঘটা তৈরি হতে থাকে এবং সে সময় আকাশের অবস্থা খুব ঘন কালো হয় না। একটু কালো মেঘের মতো তৈরি হয়। সামান্য বৃষ্টি ও হালকা বিদ্যুৎ চমকায়। আর তখনি মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, প্রতিটি দুর্যোগে একটি নির্দিষ্ট সময় আছে এবং সে সম্পর্কে প্রতিটি মানুষকে সচেতন করা উচিত। ‘বাইরে থাকলে যখন দেখা যাবে আকাশ কালো হয়ে আসছে তখনি নিরাপদ জায়গায় যেতে হবে। এ সময়টিতে অন্তত আধঘণ্টা সময় পাওয়া যায়?’ কোন নির্দিষ্ট এলাকায় বজ্রপাত বেশি হয়? তাওহিদা রশিদ বলেন অঞ্চলভেদে এটি কম বেশি হচ্ছে। বজ্রঝড় ও বজ্রপাত এপ্রিল ও মে মাসের কিছু সময় ধরে প্রতি বছরই হয়। এ বছর কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। তার মতে বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলে বজ্রপাতের সংখ্যা বেশি। ‘কারণ ওখানে হাওরের জন্য জলীয় বাষ্প বেশি হয়। সে কারণেই সিলেটের ওই অঞ্চলটিতে বজ্রপাতের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।’ বজ্রপাত ঠেকাতে গাছ লাগানো উচিত কোথায়? অধ্যাপক তাওহিদা রশিদ বলেন, তালগাছের মতো গাছগুলো রোপণ করা উচিত খোলা মাঠে, তাহলেই এটি বেশি কাজে দেবে। ‘কিন্তু কিছু প্রকল্পের অধীনে সেগুলো লাগানো হচ্ছে রাস্তার পার্শ্বে। এর ফলে বজ্যপাত মানুষ বা গাড়ির ওপরই পড়বে।’ তিনি বলেন, ঘন বনও বর্জপাতের জন্য ভালো, কারণ এটি তাপমাত্রাও কমায়। গ্রামে ছোট ছোট গাছের ঝোপ থাকলে লোকজন সেখানেও আশ্রয় নিতে পারে। -বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat