×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৮-০৭
  • ৫৪৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল রোববার থেকে চট্টগ্রাম জেলার সব টিকাকেন্দ্রে একযোগে শুরু হচ্ছে আস্ট্রাজেনেকার (কোভিশিল্ড) দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম। 
তবে এসএমএস আসার পর মিলবে এই টিকা। যারা পূর্বে এসএমএস পেয়েছেন তাদের এসএমএস দেওয়া হবে না এবং তাদের টিকাকেন্দ্রে যেতে হবে শুরুর দু’তিনদিন পর। 
প্রথম ডোজ আস্ট্রাজেনেকার (কোভিশিল্ড) টিকা পাওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া অনেকেই আছেন অপেক্ষায়। টিকার জন্য এ অপেক্ষা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে সেই অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। 
শনিবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, ‘আগামীকাল (রোববার) থেকে সকল টিকাকেন্দ্রে একযোগে আস্ট্রাজেনেকার (কোভিশিল্ড) দ্বিতীয় ডোজ প্রতিদিন সকাল থেকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত প্রদান করা হবে। তবে নগরীর জেনারেল হাসপাতালে দেওয়া হবে প্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। হাসপাতালে বেশি কক্ষ না থাকার কারণে এই সিদ্ধান্ত এবং এ কেন্দ্রে ১৪ হাজার ৪০০ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকার অপেক্ষায় আছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সবার কাছে এমএমএস যাবে। নির্দিষ্ট কেন্দ্রে এসএমএসসহ যোগাযোগ করতে হবে। পূর্বে যারা এসএমএস পেয়েছেন তাদেরকে এ মুহূর্তে এসএমএস দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে তারা টিকা পাবেন। তাদের অনুরোধ করব শুরুর দু’তিনদিন পর নির্দিষ্ট টিকাকেন্দ্রে আসতে। এ মুহূর্তে যারা এমএসএস পাচ্ছেন শুধুমাত্র তারাই আসবেন। টিকার যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। যত মানুষ বাকি ছিল তার চেয়ে বেশি টিকা আসছে। কাজেই অপেক্ষমান সকলেই টিকা পাবেন। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’
এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে আরও ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা চট্টগ্রামে এসেছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ডোজ অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা, ৩৮ হাজার ৪০০ ডোজ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মডার্না এবং ১ লাখ ২০ হাজার ডোজ চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা।
এর আগে গত ২৮ জুলাই ১ লাখ ৮৫ হাজার ডোজ এবং ১১ জুলাই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সিনোফার্ম এবং মডার্নার ১ লাখ ৮৪ হাজার ডোজ টিকা চট্টগ্রামে আসে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছেন মোট তিন লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৪ জন। এদের মধ্যে মহানগরে এক লাখ ৮০ হাজার ৪৩ জন এবং ১৪ উপজেলায় এক লাখ ৫৮ হাজার ৪০১ জন। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন মোট ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুরুতে বাংলাদেশে দেওয়া হয়েছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, যা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।
করোনা মহামারীতে ভারত বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে কোম্পানিটি বাংলাদেশে দুই চালান পাঠানোর পর আর টিকা দিতে পারেনি। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat