×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০১-২১
  • ৪৩৪৩৩৪৭২২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রম শিল্পে ‘থ্রেস হোল্ড’ (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার) কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র পার্টনার হিসেবে কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। আজ সচিবালয়ে মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাসে লিনা খান ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ম্যাথিউ বেহ এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন। এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব(সচিবের দায়িত্ব পালনকারী) হাফিজ আহমেদ চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন, এটা তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু। এটা বাংলাদেশ সরকার এবং আওয়ামী লীগের সরকারের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়টি নিজের হাতে রেখেছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের সম্মতি বা স্বাক্ষর নেওয়ার হার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া সহজ করা হবে বলে তাদের জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাসে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনা গত বছর থেকে তাদের সঙ্গে আমাদের হচ্ছে। সময়ে সময়ে যে অগ্রগতি হয়েছে এবং আরও কোনো অগ্রগতি সম্ভব কি না, সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আজকে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, রাষ্ট্রপতির কাছে যে শ্রম আইনটা গিয়েছিল, সেটি একটি বিশেষ কারণে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণটা আগেও আপনাদের ব্যাখ্যা করেছি। সেই ব্যাপারটা আলোচনায় এসেছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি এটাও বলেছি, আগামী বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটা টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসবো। আইএলও’র গভর্নিং বডির মিটিং হচ্ছে মার্চ মাসে, আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহুল হওয়ার জন্য এবং দু’একটা বিষয় তারা জানতে চেয়েছেন, সেই মিটিংয়ের পরে তাদের আমরা জানাবো। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি বা এমন কিছু তোলেনি।’
‘থ্রেস হোল্ড’ নিয়ে তাদের বক্তব্য কী, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘থ্রেস হোল্ড’ নিয়ে তাদের বক্তব্য আছে, এটা সব সময়ই ছিল। থ্রেস হোল্ডের ব্যাপারে ‘আমি বলেছি, এটা আমরা ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। সেখানে একটা কন্ডিশন আছে, তা হোলো- এটা শুধু এপ্লিক্যাবল হবে যে ফ্যাক্টরিতে তিন হাজার বা এর বেশি শ্রমিক আছে সেখানে। সেটার ব্যাপারে একটা আলোচনা হতে পারে।’ তারা এটাও বলেছেন, তিন হাজার বা তিন হাজারের বেশি শ্রমিক আছে, এমন কারখানা অনেক কম। এই ব্যাপারে যখন প্রশ্ন এসেছে তখন আমি বলেছি, এটা নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’ তারা কী শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ চাইছে কি-না, এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘১০ শতাংশ নিয়ে  যে ব্যাপারটা, সেটা আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি, আমাদের এমপ্লয়ার্স এবং ওয়ার্কার্স ফেডারেশন যেগুলো আছে, তারা সব সময় বলে আসছে যে আস্তে আস্তে কমানোটাই তাদের জন্য ভালো হবে। বাংলাদেশ শ্রমিকের অধিকারের ক্লাইমেট অনুযায়ী এটা কমানো হবে। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। সেজন্য আমরা আস্তে আস্তে কমানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেবো।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat