×
ব্রেকিং নিউজ :
গণভোটের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সুযোগ নেই: নাহিদ ইসলাম নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে জামায়াত-এনসিপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা নেত্রকোণায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত বগুড়ায় প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যের প্রদর্শনী সুনামগঞ্জে ‘ইসিএ’ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ৩৫৫ কোটি টাকা, সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ভূমি সেবা সত্যিকারার্থে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে: ভূমি সচিব পুঁজিবাজারে অনিয়ম : সাবেক চেয়ারম্যানসহ দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জাবি ভিসির
  • প্রকাশিত : ২০১৮-১২-০৭
  • ৪৭৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোট কারচুপি করে নির্বাচনে জেতার কোন অভিপ্রায় সরকারের নেই : প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:–প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় উল্লেখ করে বলেছেন, ভোট কারচুপি করে নির্বাচনে জেতার কোন অভিপ্রায় তাঁর সরকারের নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। আর কারচুপি করে নির্বাচনে জেতার কোন ইচ্ছে আমাদের নেই।’ প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় গণভবনে ৩০৭ জন জেষ্ঠ্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন। এসব কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বিজয়ের জন্যে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁর সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ খুশি হয়ে আমাদের ভোট দিলেই আমরা ক্ষমতায় থাকব, না হলে নয়।’ ২০০১ সালের নির্বাচনের উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সেই নির্বাচনে আমরা ভোটের সংখ্যায় হারিনি। ‘অনেক বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আমরা বেশি ভোট পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কম আসন দেয়া হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত একটি ডকুমেন্ট পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে কোন কোন আসন দেয়া হবে আর কোন কোন আসন দেয়া হবে না তা লাল, হলুদ, সবুজ ও নীল কালিতে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায়, সে বছর নির্বাচন কিভাবে মঞ্চায়িত হয়েছে।’ সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, ড. খন্দকার শওকত হোসেন, এসএম আলী কবির ও কামরুন্নেসা খানম এবং সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা খন্দকার, কৃষিবিদ ওয়াসিউজ্জমান আখন্দ, ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ ভূঁইয়া, অধ্যাপক দিলারা হাফিজ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচাল ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, রাষ্ট্রদূত আবদুল হান্নান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক নোমানুর রশিদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনসার আলী খান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। সাবেক মূখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। দেশের আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এলে তারা আবারো দেশকে ধ্বংস করবে। তিনি বলেন, ‘সুতরাং আমরা খুনি ও যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও আগুন সন্ত্রাসীদের দলকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না।’ তিনি আরো বলেন, ‘তারা (স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি) ক্ষমতায় এলে আবারো দেশকে (অতীতের মতো) ধ্বংস করবে। কিন্তু আমরা ধ্বংসের দিকে যেতে চাই না। আমরা চাই অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে।’ শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে না পারলে চলমান উন্নয়ন কর্মকা- শেষ করা হবে না। ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এসব কাজ শেষ করবে না। কারণ তারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের অগ্রগতি এবং জনগণ ভালো থাকুক তা চায় না, কেন তারা তা করবে? ‘কিন্তু আমরা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। আর এজন্য সরকারের ধারাবাহিকতা অত্যাবশ্যক।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৭১ সালে আমাদের শতবার্ষিকী উদযাপনের পরিকল্পনা করেছি এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ গ্রহণ করেছি। ততদিন আমরা বেঁচে না থাকতে পারি কিন্তু আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি উপযুক্ত পরিকল্পনা রেখে যেতে চাই।-বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat