×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-১৫
  • ৭২৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৮৪ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ৩ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ১২৯ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৮৪ জন। গতকালের চেয়ে আজ ৬৫ জন কম সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ৯৪৯ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭২৯ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৯ হাজার ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৮৭৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৬ হাজার ৮২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৭৯৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৮৪ শতাংশ কম।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩০ লাখ ৫ হাজার ৫১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৫টি হয়েছে সরকারি এবং ৬ লাখ ৬ হাজার ১৪৭টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৩২ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৭ হাজার ২৪২ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৭৯০টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ৭৭ ও বেসরকারি ৬৩টিসহ ১৪০টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৪ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৬ হাজার ৮২৮ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ২ হাজার ২২৬টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৯০১ দশমিক ৮৮ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৫০৫ দশমিক ৬৫ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪১ দশমিক ৮৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ৪০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন, আর নারী ১৪ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৪৩৯ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৬৯০ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ২৯ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ৩৯ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ২৮ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৩ জন; যা দশমিক ৪৬ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ জন; যা দশমিক ৭৭ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৭ জন; যা ২ দশমিক ২০ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৬২ জন; যা ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৪২ জন; যা ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৮২৮ জন; যা ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৮৫২ জন; যা ৫৪ দশমিক ৯০৩ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, খুলনা ও সিলেট বিভাগে ১ জন করে এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৮৭ জন; যা ৫৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৩২৫ জন; যা ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪১৯ জন; যা ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫১২ জন; যা ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৩১ জন; যা ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৮০ জন; যা ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩২০ জন; যা ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫৫ জন; যা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ২৬০টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৩১ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৩২৯টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২৮৮টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২২৫ জন ও শয্যা খালি আছে ৬৩টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬৮৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ৩১৪ জন ও শয্যা খালি আছে ৩৭৩টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৫টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২৪ জন ও শয্যা খালি আছে ২১টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৫৬৫টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৮০ জন ও শয্যা খালি আছে ৫ হাজার ৯৮৫টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৩৭টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৭০ জন ও শয্যা খালি আছে ১৬৭টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৫১২টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৮২৫ জন এবং শয্যা খালি আছে ৭ হাজার ৬৮৭টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৭০টি, রোগী ভর্তি আছে ৩১৯ জন এবং খালি আছে ২৫১টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ১০৫টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬৬৭টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৬১৩টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ৮৮৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ২ হাজার ২১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫৩ জন, রংপুর বিভাগে ৫০ জন, খুলনা বিভাগে ৩৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৮ জন, সিলেট বিভাগে ৪৩ জন এবং ময়মনসিংহে ২৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮৩২ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮৪৪ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪০ হাজার ৪৯১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১০২ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ২৪০ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ১৯৯ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৮১ হাজার ৭৬০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৪৩৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ হাজার ৬৩৯ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩০৪ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৬১টি, ৩৩৩ এই হটলাইন নম্বরে ৪ হাজার ৪০৬টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১১৯টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮৮৬টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ৭০০ জন, এবং এ পর্যন্ত ৬ লাখ ২৩ হাজার ২৯৫ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪২৯ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ কোটি ১০ লাখ ৫১ হাজার ৮০৫ জন এবং ১৬ লাখ ৮ হাজার ৬৪৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat