×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০২১-০২-০৭
  • ৬৯০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 চট্টগ্রাম নগরের ২টি কেন্দ্র ও ১৪ উপজেলায় করোনা টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকালে নিজেই টিকা নিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। চট্টগ্রামের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে করোনার টিকা নেয়ার পর কোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করছেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষা উপমন্ত্রীর টিকা গ্রহণের পরপর দায়িত্বশীল বেশকয়েক কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ টিকা নেন বলে জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
তাদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম হুমায়ুন কবীর, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ও সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি
ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম নগরে ৬০ লাখ মানুষের বাস। আমাদের বরাদ্দ ১ লাখ ৫৪ হাজার। আজ চমেক হাসাপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সী যারা রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তাদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে । ১০ টি বুথে এ কার্যক্রম চলছে। এদিন জেনারেল হাসপাতালেও ছোট পরিসরে টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে।
তিনি জানান, বাকি ১৩ টি কেন্দ্রেও টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। সেগুলো হচ্ছে -চট্টগ্রাম সেনানিবাস হাসপাতাল, চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম নৌ-বাহিনী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিমান বাহিনী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল, চসিক বন্দরটিলা হাসপাতাল, চসিক মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল, চসিক ছাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল, ইউএসটিসি হাসপাতাল, সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
তিনি আরও বলেন, আমি সবাইকে বলবো কোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে টিকা নিন। যে কোনো ধরনের অবস্থার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। যিনিই টিকা নেবেন তাকে আমরা ১ ঘন্টা আমাদের পর্যবেক্ষণে রাখবো। এছাড়া টিকা দেয়ার আগেই গ্রহীতার স্বাস্থ্য পরিক্ষা করা হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, টিকা নেয়ার পর এখন পর্যন্ত আমি কোনো নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া অনুভব করছিনা। যে কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কিছু অনুভব করছিনা। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের যারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আছেন তারাও টিকা নিয়েছেন। তারাও ভালো আছেন।
উপমন্ত্রী বলেন, একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে দুটি করে টিম টিকাদানে নিয়োজিত আছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ি জানা যায়, উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডোজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পটিয়ায়। এ উপজেলায় দেয়া হয়েছে সাড়ে ৩১ হাজারের বেশি ভ্যাকসিন ডোজ। এছাড়া আনোয়ারা উপজেলায় ১৫ হাজার ৫২৪, বাঁশখালীতে ২৫ হাজার ৮৪১, বোয়ালখালীতে ১৩ হাজার ৩৭২, চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩ হাজার ৯৬৫, ফটিকছড়িতে ৩১ হাজার ৫২৫, হাটহাজারীতে ২৫ হাজার ৮৭৬, লোহাগাড়ায় ১৬ হাজার ৭৭৬ , মিরসরাই উপজেলায় ২৩ হাজার ৮৯৬, রাঙ্গুনিয়ায় ২০ হাজার ৩১৭, রাউজানে ১৯ হাজার ৩৪৯, সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৯৭, সাতকানিয়াতে ২৩ হাজার ৬২, সীতাকুন্ডে ২৩ হাজার ২৪৪ এবং নগরীতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫ ডোজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat