কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)। সকাল ৯ টায় শুরু করে রাত ১০ টার মধ্যে প্রথম দিনের সকল বর্জ্য সরিয়ে নেয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী বাসস’কে জানান, ‘আমরা গতকাল ঈদের দিন সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন বাসা থেকে যেসব বর্জ্য সড়কে ফেলা হয়েছে সেসবও বারে বারে গাড়ি পাঠিয়ে রাত ১০ টার মধ্যে শতভাগ বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে। এবার অনেকে ঈদের দ্বিতীয় দিন আজ পশু কোরবানি দিয়েছেন। এ ব্যাপারেও আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমাদের কর্মীরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিকেল ৫ টার মধ্যে অপসারণ শেষ করতে পারবো বলে মনে করি।
মোবারক আরো জানান, ‘বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি আমরা পশু জবাইয়ের স্থানে লেগে থাকা রক্ত ভালো করে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিয়েছি। ফলে কোথাও কোনোরকম দুর্গন্ধ নেই। কাজ করতে গিয়ে আমরা নগরবাসীর পূর্ণ সহায়তা পেয়েছি। সেজন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
নগরীর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের বাসিন্দা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বাসস’কে জানান, গত কয়েক বছর ধরে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে চসিকের কাজে শৃঙ্খলা এসেছে। প্রতিবারই আগের বছরের চেয়ে ভালো করার প্রতিযোগিতা থাকে নিজেদের মধ্যে। এবারও চসিক আগের বছরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে এবং আমার দৃষ্টিতে তারা সফলও হয়েছে।
পূর্ব বাকলিয়ার বাসিন্দা, সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সৈয়দ জানান, ‘সকাল থেকে চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দৌড়ঝাঁপ এবার চোখে পড়ার মতো ছিল। আমাদের ওয়ার্ড কর্ণফুলী নদীর পাড়ে। কিন্তু তারপরও সন্ধ্যার মধ্যে পুরো এলাকার বর্জ্য অপসারণ হয়েছে।
নগরীর আরো কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘মেয়র হিসেবে রেজাউল করিম চৌধুরীর এটি প্রথম কোরবানি ঈদ। তিনি চসিকের চলমান সুনাম অক্ষুণœ রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কোরবানির দ্বিতীয় দিনশেষে মূল্যায়ন করতে গেলে বলতে হয়, তাঁর মেয়াদের প্রথম কোরবানি ঈদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি সফল হয়েছেন।’
চসিক সূত্র জানায়, পর্যাপ্ত জনবল, ওয়ার্কিটকি, গাড়ি, কন্টেইনার মুভার ও টমটমসহ সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছিল চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি। চসিকের ৪১ ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা টিমে নেতৃত্ব দিয়েছেন কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী। কাজের সুবিধার্থে পুরো নগরীকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়। একেক জোনে একজন করে কাউন্সিলর দায়িত্ব পালন করেন। এরা হচ্ছেন, এসরারুল হক, আবদুল বারেক, শৈবাল দাশ সুমন এবং মো. ইসমাইল।