×
ব্রেকিং নিউজ :
আইপিএল: চেন্নাইয়ের বড় জয়ের ম্যাচে উইকেট শিকার তালিকার শীর্ষে ফিরলেন মুস্তাফিজ গানে সরকারের সমালোচনা করায় ইরানি র‌্যাপারের মৃত্যুদণ্ড সিরাজগঞ্জের উল্লাপড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান চালক নিহত রাজস্ব আয় বাড়াতে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি শেরপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী গোপালগঞ্জের জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উদযাপিত কুড়িগ্রামে আইনগত সহায়তা দিবস ও লিগ্যাল এইড মেলা অনুষ্ঠিত জমজ শিশুর অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আগামীকাল দেশে ফিরবেন
  • প্রকাশিত : ২০২০-১১-১০
  • ৬৯৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

 আগামীকাল ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ভোলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। লাখ লাখ মানুষ সেদিন প্রাণ হারায়। দিনটি স্মরেণে আলোচনা সভা, সেমিনার, কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে।
উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরনকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহাণী ও ক্ষয়ক্ষতি হায়েছিল। প্রলয়ংকরী ওই ঝড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে ভোলা জেলায় লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। আর অসংখ্য জনপদ বিরান ভূমিতে রুপ নেয়। উত্তাল মেঘনা নদী আর তার শাখা-প্রশাখাগুলো রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগারে। সে এক ভয়াবহ দৃশ্য। ঝড়ের আঘাতে লন্ড-ভন্ড হয়েছিলো পুরো ভোলাসহ উপকুল অঞ্চল।
১৯৭০ সালের ১১ নভেম্বর বুধবার সকাল থেকেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আবহাওয়া আরো খারাপ হতে লাগল এবং মধ্যরাত থেকেই ফুঁসে উঠতে শুরু করে সমুদ্র। তীব্র বেগে লোকালয়ের দিকে ধেয়ে আসল পাহাড় সমান উচু ঢেউ। ৩০/৪০ ফুট উচু সেই ঢেউ আছড়ে পড়ল লোকালয়ের উপর। আর মুহুর্তেই ভাসিয়ে নিয়ে গেলো মানুষ, গবাদি পশু, বাড়ি-ঘর এবং ক্ষেতের সোনালী ফসল। পথে প্রান্তরে উন্মুক্ত আকাশের নীচে পড়েছিলো কেবল লাশ আর লাশ। কত কুকুর, শিয়াল আর শকুন খেয়েছে সে লাশ তার কোন ইয়ত্তা নেই। মরনপুরীতে রুপ নেয় ভোলাসহ ােটা অঞ্চল।
তৎকালীন দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান বাসস’কে বলেন, বন্যার পরে দেখেছি সাপ আর মানুষ দৌলতখানের চৌকিঘাটে জড়িয়ে পড়ে আছে। ¯েœহময়ী মা তার শিশুকে কোলে নিয়ে মেঘনার পাড়ে মৃত অবস্থায়। সোনাপুরের একটি বাগানে গাছের ডালে এক মহিলার লাশ ঝুলছে। এমনিভাবে মনপুরা, চরফ্যাশন, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও দৌলতখানসহ সমগ্র জেলায় মানুষ আর গবাদি পশু সেদিন বঙ্গোপসাগরের উত্তাল জলে ভেসে গেছে। জন-মানুষ শূণ্য হয়ে পড়েছিলো দ্বীপজেলা ভোলা।
তিনি বলেন, ঝড়ের আঘাতে টিএন্ডটি ভবনসহ সকল স্থাপনা ভেঙ্গে যায়। নিউজ পাঠানোর কোন মাধ্যম ছিলোনা। ঘটনার ৩দির পরে তিনি তৎকালীন বরিশাল জেলা প্রশাসক হাসেম আলীর অনুমোতি নিয়ে ভোলা থানার ওয়ারলেসযোগে পূর্বদেশ পত্রিকায় ‘বাংলার মানুষ কাদোঁ, গাছে গাছে ঝুলছে লাশ’ শিরোনামে সংবাদ পাঠান। এছাড়া একটি ট্রলারে করে ছবি পাঠান পত্রিকা অফিসে। ঘটনার ৪দিন পরে পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হলে পুরো দেশে এ নিয়ে আলোরিত হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে ত্রাণ আসতে শুরু করে।
হাবিবুর রহমান আরো বলেন, ১৮ অথবা ১৯ তারিখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে এক জাহাজ ত্রাণ নিয়ে আসেন ভোলায়। সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মনপুরায়। মনপুরার ২৬ হাজার মানুষের মধ্যে ১৭ হাজারই সেদিন সাগরের জলে ভেসে গিয়েছিলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat