×
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৫-০৩
  • ৯৫০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব খাজা মিয়া আজ দেশের মানুষ যেন সহজেই ডিজিটাল সেবাসমূহ পেতে পারে- সেজন্য বাংলায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ সম্পর্কিত সকল প্রোগ্রাম ও সিস্টেমের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চীন, জাপান ও সৌদি আরব সফরকালে দেখেছি যে- তারা তাদের নিজস্ব ভাষায় সকল সেবা দিচ্ছে। তাই, আমি মনে করি ‘জিডিটাল বাংলাদেশ’ সম্পর্কিত প্রোগ্রামগুলো বাংলায় তৈরি করা উচিৎ, যাতে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই সেবা পেতে পারে।’
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাজা মিয়া একথা বলেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), মন্ত্রিপরিষদ শাখার অ্যাসপাইয়ার টু ইনোভেশন (এটুআই) ও আইসিটি ডিভিশন ইউএনডিপি’র সহায়তায় যৌথভাবে এই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে। এটা দুই বিভাগের বাসস এর স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের চতুর্থ কর্মশালা।
বাসস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে এট্আুই জয়েন্ট প্রজেক্ট ডিরেক্টর সেলিনা পারভেজ মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
বাসস-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় এই উদ্বোধনী অধিবেশন স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাসস-এর নগর সম্পাদক ও পরিচালক বোর্ডের সদস্য মধুসুদন ম-ল।
বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর রূপান্তরিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়োসী প্রশংসা করে খাজা মিয়া বলেন, ‘যখন বর্তমান সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়, তখন অনেকেই এবং বিরোধী দলগুলো একে নিয়ে বিদ্রুপ করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে তাদের এই বিদ্রুপ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।’
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নকে বর্তমান সরকারের অন্যতম বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ পাঁচটি মন্ত্রণালয় নিয়ে ‘মাই গভর্নমেন্ট’ শীর্ষক একটি ডিজিটাল প্লাটফরম চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে, এটি জিডিটাল সেবা প্রদানে কাজ করবে।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব ওয়েবসাইটে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সকল সেবাসমূহ একটি লিফলেট আকারে তুলে ধরার ওপর গুরুত্বআরোপ করেন এবং প্রতিটি সেবা গ্রহণকারীর জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের সন্বিবেশ করে একটি সমন্বিত আইডি তৈরির ওপর গুরুত্বআরোপ করেন- যাতে করে তারা মাত্র একটি আইডি নম্বর ব্যবহার করে সকল সেবা পেতে পারে।
খাজা মিয়া এ ব্যাপারে এটুআই কর্মকর্তা ও সাংবদিকদের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বাসস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ উদ্বোধনী অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সেবাসমূহ সহজলোভ্য করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৯ সালে বাসস তার বাংলা সার্ভিস চালু করে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধিরা বাংলা ও ইংরেজিতে প্রতিবেদন তৈরি করেন। কিন্তু সকল প্রতিবেদন অনুবাদের পর উভয় ভাষাতেই প্রকাশিত হয়।’
এটুআই’র জয়েন্ট প্রজেক্ট ডিরেক্টর সেলিনা পারভেজ তার বক্তব্যে বলেন, এটুআই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নাগরিকদের জন্য ডিজিটাল সেবাসমূহ সহজিকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
গ্রামীন জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আসাকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দেশব্যাপী প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) স্থাপনের মাধ্যমে এটা সম্ভব হয়েছে।
সেলিনা পারভেজ বলেন, এখন দেশব্যাপী ৭ হাজার ৬০২টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে ২৯০টির বেশি ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ গ্রহণ করেন বাসস এর চিফ নিউজ এডিটর এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, এটুআই কমিউনিকেশন অফিসার মামুনুর রহমান ও ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া আউটরিচ এবিএম আদনান ফয়সাল।
পরে, এটুআই পলিসি স্পেশালিস্ট মো. আফজাল হোসেন সারওয়ার ও ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট ফর ই-ফাইল ইম্পিমেন্টেশন নিলুফা ইয়াসমিন এবং বাসস এর ডেপুটি চিফ নিউজ এডিটর ওমর ফারুক ও বিশেষ প্রতিনিধি ও ইনফোটেইনমেন্ট-ইন-চার্জ মাহফুজা জেসমিন রিসোর্স পার্সন হিসেবে কর্মশালায় অংশ নেন।
খুলনা ও বরিশাল বিভাগ থেকে বাসস-এর মোট ১৮ জন প্রতিনিধি ভার্চুয়ালি এই কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat