×
ব্রেকিং নিউজ :
টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি মানবপাচার মামলায় মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে টঙ্গী থেকে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত শাটল বাস চালু ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে : জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা কেউ আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী আরটিআই আইনে তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে হবে : ড. আবদুল মালেক এসওইগুলোকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট ডেটা : অর্থ প্রতিমন্ত্রী বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন জাতির জন্য নিবেদিতপ্রাণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সঠিক : সালমান এফ রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২১-১২-১০
  • ৩৮৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ ‘নেভাল এনসাইন ১০ -স্মৃতিতে অম্লান বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপিত হয়েছে।
স্বাধীনতার রক্তাক্ত ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ধারক এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এ তারিখে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাথে জড়িয়ে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অম্লøান স্মৃতি। ৭১ সালের এই দিনেই মহান মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও অসামান্য বীরত্বের সাথে লড়াই করে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করেন। এদিন দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য র‌্যালী, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, অসহায়দের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়। এর অংশ হিসেবে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ এ সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও নাবিকদের সমন¡য়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সহকারী নৌপ্রধান (অপারেশন্স) রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হকসহ নৌ সদরের প্রিন্সিপ্রাল স্টাফ অফিসারগণ, পরিচালকবৃন্দ, নৌ কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের নাবিক উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি বানৌজা খিলক্ষেতে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান এবং বানৌজা হাজী মহসীন অডিটোরিয়ামে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী পালন করা হয়।
সকালে খুলনায় অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম শহীদ মহিবুল্লাহ এর সমাধিস্থলে গার্র্ড অব অনার ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে সর্বস্তরের নৌসদস্যের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ১০ ডিসে¤¦র ১৯৭১ এ পরিচালিত নৌ অপারেশন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর স¥ৃতিচারণমূলক প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয়। খুলনাস্থ বানৌজা উপশমে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয় এবং দুপুরে খুলনা নৌ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় দুঃস্থ, অসহায় এবং অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
পাশাপাশি চট্টগ্রাম এর বানৌজা ঈসাখান প্যারেড গ্রাউন্ড হতে সর্বস্তরের নৌসদস্যের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের বানৌজা পতেঙ্গায় চট্টগ্রাম স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয় এবং দুপুরে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের হাসপাতাল গেট সংলগ্ন এলাকায় দুঃস্থ, অসহায় এবং অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। বাদ জুমা সকল নৌঅঞ্চলের মসজিদসমূহে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক ও আর্থ- সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঐতিহাসিক ছয় দফায় নৌবাহিনী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবী জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর একটি আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি ১৯৭৪ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে নেভাল এনসাইন প্রদান করেন এবং একযোগে বানৌজা ঈসা খানসহ ৩টি ঘাঁটি বানৌজা হাজী মহসীন ও বানৌজা তিতুমীর এবং ৩টি জাহাজ কমিশনিং করেন। এই দিনেই বঙ্গবন্ধু বানৌজা সুরমায় প্রথম ও একমাত্র নৌবাহিনীর মহড়া পরিদর্শন করেন। জাতির পিতার প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য হতে যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করা হয় এবং পরবর্তীতে ১০ ডিসেম্বর ১৯৭৬ বানৌজা ওমর ফারুক নামে কমিশনিং করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতায় ১৯৭৪ সালে প্রণীত হয় সমুদ্রাঞ্চল বিষয়ক আইন ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট-১৯৭৪’।
সেই ধারবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহে প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটারের এক বিশাল সমুদ্র এলাকা। মাত্র দুটি গানবোট নিয়ে যাত্রা শুরু করার পর ১৯৭১ সালের নৌবাহিনী বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা ও দিক নির্দেশনায় আজ একটি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। ‘শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দুর্জয়’- এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে বাংলাদেশের জলসীমার নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat