×
ব্রেকিং নিউজ :
টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি মানবপাচার মামলায় মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে টঙ্গী থেকে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত শাটল বাস চালু ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে : জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা কেউ আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী আরটিআই আইনে তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে হবে : ড. আবদুল মালেক এসওইগুলোকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট ডেটা : অর্থ প্রতিমন্ত্রী বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন জাতির জন্য নিবেদিতপ্রাণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সঠিক : সালমান এফ রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-০২
  • ৫৩৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

মোঃ হাবিবুর রহমান,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর মান্দায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের বকেয়া ভাতা প্রাপ্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ভাতাভোগীরা। তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের অবহেলার কারণে ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের সাবাইহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন ভাতাভোগীরা। মানববন্ধনে তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কমকর্তার শাস্তির দাবীও জানানো হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন ভাতাভোগী বাংড়া গ্রামের কছিমুদ্দীন চৌকিদার, চন্দ্রকোনা গ্রামের শামসুল আলম, কেশবপুর গ্রামের জাহানারা বেগম, সিংগা গ্রামের করপুল বিবি ও তেঁতুলিয়া গ্রামের খতেজা বিবি।
বাংড়া গ্রামের ভাতাভোগী ফাতেমা বিবি বলেন, ‘আগে বইয়ের মাধ্যমে আমাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। অনেক সময় সমস্যা হলে মেম্বার, অফিস ও ব্যাংকের লোকজন মিলে ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু মোবাইলের মাধ্যমে টাকা দেওয়া চালু হওয়ার পর সমস্যার সৃষ্টি হয়। অফিসে বারবার অভিযোগ করেও আমরা টাকা পাইনি।’
তেঁতুলিয়া গ্রামের জমিলা বিবি বলেন, ‘মোবাইলে টাকা দেওয়া শুরু হলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তাঁরা টাকা পেয়েছেন বলেও শুনেছি। কিন্তু তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৪৯ জন ভাতাভোগী ৬ মাসের ভাতা আজও পাননি। তৎকালীন সমাজসেবা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের অবহেলার কারণে আমরা ভাতা বঞ্চিত হয়েছি। আমরা তাঁর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘মোবাইল ব্যাংকিং সেবাপ্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ এর মাধ্যমে ভাতা দেওয়া চালু হলে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ৬ মাসের ভাতা পাননি তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৪৯ জন ভাতাভোগী। ওই সময় ভাতার দাবিতে সমাজসেবা অফিস ঘেরাওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন তাঁরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত বকেয়া ভাতা থেকে বঞ্চিত আছেন ভাতাভোগীরা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের টাকা ব্যাংক থেকে ফেরত চলে গেছে। সেই ক্ষেত্রে বকেয়া ভাতা প্রাপ্তির আর কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও বর্তমানে রাজশাহী ‘ছোটমনি’ নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইলফোনে বারবার চেষ্টা করেও ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি এই মাত্র জানলাম। বকেয়া ভাতা প্রাপ্তির সুযোগ থাকলে সমাজসেবা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat