×
ব্রেকিং নিউজ :
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন : মেয়র তাপস ভোলায় মহান মে দিবস পালন রাঙ্গামাটিতে দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্পের উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় আজ দুপুরে ৪০.৭ ডিগ্রিতাপমাত্রা রেকর্ড গাজা যুদ্ধে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু : নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৬৮ মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার জাতির পিতার সমাধিতে রাজউক চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা সিলেটের আদালত পাড়ায় ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের জন্ম : শেখ পরশ
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-০৮
  • ৫৮৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

কুষ্টিয়া জেলার আলোচিত স্কুল শিক্ষিকা হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উন্মোচন ও আসামি ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাত (১৯) কে আটক করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।
সোমবার রাতে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নওরোজ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শহরের হাউজিং এলাকা থেকে নওরোজকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত রোকসানার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে নওরোজের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের হাউজিং ডি ব্লাকের সাততলা বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাট থেকে রোকসানার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত রোববার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করছিল পুলিশ। নিঃসস্তান রোকসানা খানম সাততলা বিশিষ্ট নিজ বাড়ির দোতলায় একাই থাকতেন। বাকি ফ্ল্যাটগুলোয় ভাড়াটিয়ারা থাকেন। রোকসানা খানম কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার স্বামী খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান যশোরের চৌগাছা উপজেলায় এলজিইডিতে কমিউনিটি অর্গানাইজার পদে কর্মরত।
এদিকে হত্যাকান্ডের পর থেকে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব ও পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করে। ডিবির ওসি নাসির উদ্দীন বলেন, রোকসানার বাড়ির চারতলায় নওরোজ তার মা ও ভাই নিয়ে থাকতেন। ওই বাড়ির অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোকসানার বাড়িতে নওরোজ নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। তাৎক্ষণিকভাবে হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে নওরোজকে আটক করা হয়।
আজ দুপুরে কুষ্টিয়া ডিবি কর্যালয়ে ডিবির (ওসি) নাসির উদ্দীন বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় নওরোজ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। নওরোজের দেয়া তথ্যে জানা যায়, রোকসানা নিঃসস্তান হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই নওরোজকে ছেলের মতো আদর করতেন। ২০১৩ সালের নওরোজের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে রোকসানা নওরোজের দেখভাল করতেন। নওরোজ মাদকে আসক্ত বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি অনলাইন জুয়ার সঙ্গেও জড়িত। এ জন্য তিনি প্রায়ই রোকসানার কাছ থেকে টাকা নিতেন। মাদক ও জুয়া খেলার টাকা জোগান দিতে সম্প্রতি নওরোজ তার ফুফুর কিনে দেয়া মোটরসাইকেলও বিক্রি করে দেন।
সম্প্রতি রোকসানা নওরোজকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেন এবং বকাঝকা করেন। এতে নওরোজ ক্ষিপ্ত হয়ে রোকসানাকে মারার পরিকল্পনা করেন। গত শনিবার রাতে রোকসানা ছাদের ফুলবাগানে পানি দিতে যান। এ সময় রোকসানার ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে কৌশলে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকেন নওরোজ। রোকসানা ঘরে ফিরে ঘুমিয়ে গেলে রাত দেড়টার দিকে রান্নাঘর থেকে শিল-পাটার শিল নিয়ে ঘুমন্ত রোকসানাকে মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে রোকসানার মৃত্যু হয়। সোমবার রাতে গ্রেপ্তারের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত শিলটি বাড়ির লিফটের পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে রোকসানার লাশ দাফন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নওরোজকে আদালতে নেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat