×
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৩-১৩
  • ৪৯৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে প্রবাসীদের ভোটাধিকার’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিত। 
তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে ২০১০ সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিদেশ থেকে দেশের সব নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একশ’রও বেশি দেশে বসবাসকারী এবং এতে কর্মরত লাখ লাখ বাংলাদেশীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের তথা ভোটাধিকার প্রয়োগের পথ প্রশস্ত হয়। অনাবাসী বাংলাদেশিরা গভীর আস্থায় বুক বাধেন যে, দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রবাসে ভোটাধিকার   প্রয়োগের এ বুঝি সুরাহা হলো। সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রবাসে অবস্থানরত ১ কোটি ৩০ লাখ রেমিট্যান্স যোদ্ধার ভোটাধিকার প্রশ্নে নানান জটিলতায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তা ঝুলে আছে। প্রবাসীদের গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকারের সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকে তার সক্ষমতা ও উচ্চতার জানান দিতে পারে।’
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল আলবার্টা কানাডার বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক রোববার সন্ধ্যায় এই ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন কানাডা প্রবাসী লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক, স্টেপ টু হিউম্যানিটি অ্যাসোসিয়েশনের স্পেশাল প্রজেক্ট কমিটির চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন ইউএনবি’র স্টাফ রিপোর্টার বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক এর সহ-সভাপতি কবি খায়রুল আহসা’ মানিক। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক এর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামসুল হাবিব, সিনিয়র শিক্ষিকা শিরিন ফেরদোসী, এশরার জাহিদ ও মোহাম্মদ রাফাত হোসেন এবং অংশগ্রহণ করেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ডেপুটি চিফ রিপোর্টার মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট করেই উল্লেখ করেছেন যে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে চারটি মূলভিত্তির উপর কাজ করবে সরকার। এগুলো হচ্ছে : স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সকল কাজকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে চলেছে এবং এই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে আমাদের ধারণা। সরকার প্রধান স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে যে চারটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে অগ্রসর হওয়ার কথা বলেছেন এর মুলে রয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট নাগরিক সেবাখাত ও প্রবাসী নাগরিকদের গণতন্ত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি,  দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় ব্যালটে সমান অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। 
কবি খায়রুল আহসান মানিক বলেন, প্রবাসী ১৩ মিলিয়ন রেমিট্যান্স যোদ্ধার ভোটাধিকার প্রদানে জাতীয় ঐকমত্য ও একটি যুগোপযোগী সিদ্বান্ত গৃহীত হয়েছিল। সরকার বিশ্বের ৯৩টি দেশের মতো প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ নজির স্থাপন ও তাদের সক্ষমতার জানান দিতে পারে। ভোটাধিকার প্রদান, ডিজিটাল আইডি দূতাবাসগুলোকে গণমুখী ও সক্রিয় করতে হবে। 
সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুরু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat