আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের পর ১১ জনের মৃত্যু পর নিখোঁজ হওয়া এক ডজন পর্বতারোহীকে খুঁজে বের করতে কয়েকশ ইন্দোনেশীয় উদ্ধারকারী মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিহত পর্বতারোহীদের সোমবার সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপির গর্তের কাছে পাওয়া যায়, অন্যদের জীবিত পাওয়া গেছে। আরও অগ্নুৎপাত এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে কঠিন উদ্ধার প্রচেষ্টার মাধ্যমে পাহাড়ের নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর এএফপি’র।
রোববার আগ্নেয়গিরি থেকে উদগিরন হওয়া ৩,০০০ মিটার উঁচু ছাইয়ের স্তম্ভ আকাশে ছড়িয়ে পড়ে।
প্যাডাং সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির অপারেশন প্রধান হেন্দ্রি মঙ্গলবার এএফপিকে বলেন, আজ সকালে আমরা প্রায় ২০০ জন কর্মী মোতায়েন করব, ইতোমধ্যে তাদের প্রধানগণ সেখানে অবস্থান করছেন। এখন পর্যন্ত পাঁচটি মৃতদেহ নামিয়ে আনা হয়েছে। আগ্নেয়গিরিটিতে এখনও অগ্নুৎপাত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১২ জন পর্বতারোহী নিখোঁজ রয়েছে এবং ছয়টি মৃতদেহ এখনও উদ্ধার বাকি আছে, পাঁচজনকে শনাক্ত করার জন্য পাহাড় থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।
হেন্দ্রি বলেন, উদ্ধারকারীরা সম্ভব হলে হাতে হাতে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে, চলমান অগ্ন্যুৎপাত ও অস্পষ্ট দৃশ্যমানতার কারণে স্ট্রেচার ব্যবহার করে মৃতদেহগুলো সরিয়ে আনা হবে।
মারাপির মনিটরিং পোস্টের প্রধান আহমেদ রিফান্দি মঙ্গলবার এএফপিকে বলেন, স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত (গ্রিনিচ মান সময় ০১০০ টায়) পাঁচটি অগ্নুৎপাত লক্ষ্য করা গেছে।
তিনি বলেন, মারাপি এখনও অনেক সক্রিয়। মেঘে আবৃত থাকায় আমরা কলামের উচ্চতা দেখতে পাচ্ছি না।
পাডাং সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান আবদুল মালিক সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নুৎপাতের পর পাহাড়ে তিনজন পর্বতারোহীকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।