×
ব্রেকিং নিউজ :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান চালক নিহত রাজস্ব আয় বাড়াতে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি শেরপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী গোপালগঞ্জের জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উদযাপিত কুড়িগ্রামে আইনগত সহায়তা দিবস ও লিগ্যাল এইড মেলা অনুষ্ঠিত জমজ শিশুর অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আগামীকাল দেশে ফিরবেন শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে : স্পিকার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-০৬
  • ৮১৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কিছুটা কম হলেও হতাশ না হয়ে পড়ালেখায় আরও মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা পাস করতে পারেনি তাদেরকে বকাঝকা না করে সন্তান যেন পড়াশোনায় আরও মনযোগী হয়, সে দিকে নজর দিকে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছেন মোট ৭৭.৭৭ শতাংশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে কম। গত বছর পাসের হার ছিল ৮০.৩৫ শতাংশ। তারও আগের বছর পাসের হার ছিল ৮৮ শতাংশেরও বেশি। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে পাসের হার বাড়ছিল। তবে গত তিন বছর ধরে সেটা আবার কমছে। গত বছর শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, খাতা দেখায় কড়াকড়ি এবং নম্বর দেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ফলে এটা ঘটেছে। চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ওই মাসের ২৫ তারিখ অবধি। পরীক্ষায় এমসিকিউ এর প্রশ্ন আগেভাগে সামাজিক মাধ্যমে আসা নিয়ে দেশে তোলপাড় হয়েছিল। তবে পাসের হারের ক্ষেত্রে সেটি যে প্রভাব ফেলেনি, সেটা স্পষ্ট। রবিবার সকালে বাসভবন গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং ১০টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফল তুলে দেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। জানান, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এবারও বেশি ভালো করেছে। আর বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী আরও বেড়েছে। অনুষ্ঠানে বরিশাল এবং বান্দরবান থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ দেন মোট চার জন পরীক্ষার্থী এবং দুই জন শিক্ষক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাসের হার কিছুটা কম মনে হলেও সেটা খুবই হতাশাজনক না। কারণ ৭৭.৭৭ ভাগ পাস করাও কম কথা না। আগামীতে এটা আরও বৃদ্ধি পাবে, সেটা আমি আশা করি।’ যারা পাস করতে পারেনি, তাদেরকে হতাশায় নিমজ্জিত না হওয়ারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে আবার পরীক্ষা দিলে অবশ্যই যারা পাস করতে পারেনি, তারা পাস করবে।’ যারা ফেল করেছে তাদের পাশে দাঁড়াতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘অভিভাবকদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, যদি কেউ যদি কেউ অকৃতকার্য হয়ে থাকে, তাদেরকে বকাঝকা করে লাভ নাই।’ ‘বরং তাদের প্রতি আরও মনযোগী হতে হবে যেন তারা আরও মন দিয়ে পড়াশোনা করে আর পড়াশোনা করলেই তারা আগামীতে পাস করতে পারবে।…শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও আমি এই কথাই বলব।’ মেয়েদের প্রশংসা করে ছেলেদেরকে পড়াশোনায় আরও মনযোগী হতে বলেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘পাসের ক্ষেত্রে মেয়েরা দুই ভাগ বেশি। এটা ঠিক না, আমাদের ছেলেদের আরও মনযোগী হতে হবে। তারা যেন সমান সমান পাস করে, এটা আমরা চাই।’ ‘আমি সকলকে বলব লেখাপড়ায় মনযোগ দিতে হবে। লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে যা যা করণীয়, আমাদের সরকার করে যাচ্ছে।’ ‘ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ আমরা তখনেই বলতে পারব, যখন আমাদের দেশের মানুষ শতভাগ শিক্ষিত হবে।’ ‘শিক্ষা এমন একটা জিনিস যেটা কখনও কেউ কেড়ে নিতে পারে না। কাজেই শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে একটা দেশকে সমৃদ্ধশালী করা যায়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat