×
ব্রেকিং নিউজ :
ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার কৃষকবান্ধব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে :রেলপথ মন্ত্রী আগামীকাল থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের বিডিইউতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পরিবেশ সাংবাদিকতা সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-১২-০৬
  • ৫৬৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

লালমনিরহাট জেলায় আজ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে লালমনিরহাট মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৯টায় সরকারি হাইস্কুল খেলার মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ মিলনায়তন প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টি.এম.এ মমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হক বীর প্রতীক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মতিয়ার রহমান,সাবেক সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমি, , পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এই দিনে লালমনিরহাট জেলা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দখল মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে চূড়ান্ত বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে মুক্তিযোদ্ধারা লালমনিরহাট শহর ঘিরে ফেললে অবস্থা বেগতিক দেখে ৬ ডিসেম্বর ভোর ৬ টায় লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাক সেনা, রাজাকার আলবদর ও তাদের দোসর অবাঙ্গালীরা দুটি স্পেশাল ট্রেনে করে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে পালিয়ে যায়। তিস্তা নদী পার হওয়ার পরে পাক সেনারা তিস্তা রেল সেতুতে বোমা বর্ষণ করে সেতুর ক্ষতি সাধন করে। লালমনিরহাট শত্রুমুক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারিদিক থেকে লোকজন ছুটে আসতে থাকে শহরের দিকে। বিভিন্ন জায়গায় উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। সন্ধ্যার মধ্যে শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় এলাকায় লোকে পূর্ণ হয়ে যায়। শহরের বিভিন্ন সড়কে বের হয় আনন্দ মিছিল। স্বাধীনতার শ্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শহর ও আশপাশের গ্রাম। বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মতো মানুষ ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিয়ে ও বিজয় পতাকা নিয়ে ঢুকে পড়ে শহরে। মিলিটারি ফোর্স, সশস্ত্র গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা স্বাধীনতাকামী মানুষদের নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat