×
ব্রেকিং নিউজ :
স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী ভুটানের রাজাকে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবির রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী কুল চেইন উন্নয়নের জন্য সমন্বিত নীতির বাস্তবায়ন চান শিল্প উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন প্রত্যাহার চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়
  • প্রকাশিত : ২০২০-০৪-৩০
  • ৪৩৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক এবং মালিক উভয়েই সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে কল-কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরও নিবেদিত হবেন।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য শ্রমিক কল্যাণ গঠন করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রতিঘাত মোকাবিলায় দেশের রপ্তানি খাতের শ্রমিকদের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামীকাল মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ সকল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নে সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বানও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও কার্যক্রম আরও সুদৃঢ় হয়েছে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বাজায় রাখা, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, “ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন (সংশোধন) আইন ২০১৩’ ও বিধি, জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতি, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি প্রণয়ন করেছি। শিল্প কারখানায় বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে সার্বিক নিরাপত্তা সন্তোষজনক রাখার লক্ষ্যে মানসম্মত ও যথাযথ পরিদর্শন ও মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করেছি। ”
এ সব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সুফল শ্রমজীবী মানুষ পেতে শুরু করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে লাগসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার এবং উন্নত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন ও কল্যণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। “আমরা পোশাক শিল্পসহ ৩৮টি শিল্প খাতের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করেছি। শ্রমঘন গার্মেন্টস শিল্প খাতের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১,৬৬২ টাকা থেকে ৫ হাজার ৩ শ টাকায় উন্নীত করেছি।” বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ ইতোমধ্যে শ্রম আইন যুগোপযোগী করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০৯১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কল-কারখানা চালু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে”। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
মহান মে দিবস শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে তিনি । দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের মেহনতি মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা এবং তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
১৮৮৬ সালের এ দিনে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকরা আত্মাহুতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন শ্রমজীবী মানুষের মৌলিক অধিকার। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের স্মৃতির প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat