×
ব্রেকিং নিউজ :
দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক সমন্বয় সভা নড়াইলে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯ মেট্রিক টন চাল প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হলেন সৈকত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-০১-০৪
  • ৬৫৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি বিএনপি’র বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।
আজ সোমবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে’ বিএনপি ঘোষিত তথাকথিত বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিতে বলেন, ‘ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের একটি অনন্য মাইলফলক। ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিকে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিশেষ মর্যাদার সাথে পালন করে আসছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারিতে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে বিএনপি’র বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।’
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিএনপি কেন বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে? এখানেই তাদের স্বাধীনতাবিরোধী চরিত্র ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিদ্বেষ ফুটে ওঠে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তাঁর খুনীদের সুরক্ষা প্রদান ও পুনর্বাসিত করেছিল বিএনপি। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তাঁর সম্মানহানির অপচেষ্টার সাথে সমান্তরালভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ ভূ-লুণ্ঠিত হওয়ার ইতিহাস সর্বজনবিদিত।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে বঙ্গবন্ধুর যে ঐতিহাসিক মেলবন্ধন তার উপর বিএনপি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার অর্থ হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরাহত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হওয়া। শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের কষ্টার্জিত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টার বহি:প্রকাশ এই বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিল বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য বস্তু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির সেই কাক্সিক্ষত লক্ষ্যবস্তুর প্রাপ্তিযোগ ঘটে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতির বিভক্ত ও বিশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র স্বার্থগুলো দূর হয়ে বৃহৎ চেতনার সূত্রে গেঁথে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর কাব্য রচনা করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির কাছে এক অবিনাশী চেতনার নাম, অফুরাণ আত্মপ্রত্যয়ের উৎস; প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের চেতনার ধমনীতে প্রবাহিত শুদ্ধতম নাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বাঙালি জাতি অতীতের মতো কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। সেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসার ক্ষণটির অপেক্ষায় ছিল বিশ^বাসী।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কাক্সিক্ষত বিজয় অর্জিত হলেও ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সে বিজয় পূর্ণতা লাভ করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের কারাগার থেকে বিমান পথে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিটি যাত্রা বিরতিতে বিশ^নেতৃবৃন্দ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতিকে স্বাগত জানায়। লন্ডনে যাত্রা বিরতিকালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ্যাডওয়ার্ড হিথ তার দিনের নির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে স্বাগত জানান। ভারতে দিল্লীর পালাম বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানান তৎকালীন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি. ভি. গিরি এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী।
তিনি বলেন, ভারত থেকে স্বাধীন বাংলার নতুন সূর্যালোকে সূর্যের মতো চির ভাস্বর-উজ্জ্বল মহান নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে আসেন তাঁর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে। স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামলো তাঁর দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ’ু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ বাতাস।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat