×
ব্রেকিং নিউজ :
উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি সম্ভাবনাকেও হাইলাইট করতে হবে : হুইপ কমল মাদারীপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০ রাঙ্গামাটিতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন ও অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ জয়পুরহাটের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যদি প্রবাহ না থাকে, তাহলে সভ্যতা টিকতে পারে না : গণপূর্তমন্ত্রী ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ : সিলেটে ইসি আনিছুর রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২১-১০-২১
  • ৪৯৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এর উদ্বোধন করেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবাভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে বছরব্যাপী ব্যবহার হবে এই সেন্টার। 
চীন সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) মালিকানায় এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মিত হয়েছে। 
প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করে আশা প্রকাশ করেন যে, বাণিজ্য মেলা, রপ্তানিকারকদের সম্মেলন, ক্রেতা-বিক্রেতা মেলা এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে অন্যান্য কর্মকান্ড আয়োজনে সেন্টারটির সর্বোত্তম ব্যবহার হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানান, প্রদর্শনী সেন্টার নির্মাণের উদ্দেশ্য হচ্ছে-বাংলাদেশের বাণিজ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে দেশি-বিদেশি পণ্য উৎপাদনকারী ও ক্রেতাদের আন্তর্জাতিক মানের একটি কমন প্লাটফর্মে যোগাযোগের সুযোগ করে দেওয়া। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সেন্টার প্রতিযোগিতার সুযোগ তৈরি করে পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মেলার আয়োজন ও অংশগ্রহণের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশেও প্রতিবছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ নানাবিধ পণ্য ও সেবাখাতভিত্তিক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করা হয়। কিন্তু স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় মেলা আয়োজনের ধারাবাহিকতা যেমন রক্ষা করা যাচ্ছিল না, তেমনি অনেক অর্থের অপচয় হতো। 
তিনি বলেন, এ সব অবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্স নির্মাণে পূর্বাচলে ২০ একর জমি বরাদ্দ করেন। তার ধারাবাহিকতায় চীন সরকারের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নান্দনিক বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী সেন্টার নির্মাণ করা শেষ হয়েছে।
টিপু মুনশি আরও জানান, প্রদর্শনী সেন্টারে দেশি-বিদেশি  প্রতিযোগী উৎপাদকের পণ্যের মান ও মূল্য সম্পর্কে সরাসরি জানা যাবে। এই সেন্টারের মাধ্যমে স্থানীয় পণ্যের গুণগত মান ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি হবে। 
তিনি বলেন, আধুনিক কারিগরি সুযোগ বিশিষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ সেন্টারের কারণে বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক বিজনেস হাব প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে। 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। এই সেন্টারের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। রফতানিও বাড়াবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সেন্টারটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারের অনুদান ছিল ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ২৩১ কোটি এবং ইপিবি অর্থায়ন করেছে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। প্রতিবছর এখানেই অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
উল্লেখ্য, পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ একর জমির ওপর চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চাইনিজ স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন প্রদর্শনী সেন্টার নির্মাণ করেছে। আর ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার জায়গায়। এক্সিবিশন হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। স্টল আছে ৮০০টি। দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ে পার্কিং স্পেস ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার। ৫০০টি গাড়ি পার্কিং করা যাবে। এ ছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনে খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ রয়েছে।
প্রদর্শনী সেন্টারে ৪৭৩ আসন বিশিষ্ট একটি মাল্টি ফাংশনাল হল, ৫০ আসনের কনফারেন্স কক্ষ, ৬টি নেগোসিয়েশন মিটিং রুম, ৫০০ আসনের রেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজের রুম, ২টি অফিস, মেডিক্যাল বুথ, গেস্ট রুম, ১৩৯টি টয়লেট, বিল্ট-ইন পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, স্টোর রুম, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইনবিল্ট ইন্টারনেট, ওয়াইফাই, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ইন-বিল্ট পতাকা স্ট্যান্ড এবং ইলেকট্রনিক প্রবেশপথ রয়েছে।
সেন্টারটির নির্মাণকাজ শুরু ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর। কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর।
ঢাকার শেরেবাংলা নগরের অস্থায়ী মাঠ থেকে পূর্বাচলে নির্মিত সেন্টারটির দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। প্রদর্শনী সেন্টারে দৃষ্টিনন্দন ঢেউ খেলানো ছাদের নিচে দুই লাখ ৬৯ হাজার বর্গফুটের দুটি পৃথক প্রদর্শনী হল রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat